শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

শার্শায় পিতা-মাতা,ভাই ও চাচার হাতে আহত হাফেজ বাপ্পির মৃত্যু : পিতার নামে মামলা

যশোরের শার্শায় পারিবারিক কলহের জেরে পিতা-মাতা, ছোট ভাই ও চাচার হাতে গুরুতর আহত হাফেজ বিনিয়ামিন বাপ্পি (২৬) ঘটনার ৩দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।

এ ঘটনায় নিহত হাফেজ বাপ্পির স্ত্রী আমেনা খাতুন বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।যার মামলা নং ১২, তাং ১৬/০৯/২৪। ধারা ৩০২।

পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত বাপ্পির পিতা সফিকুল ইসলাম চান্দু (৫৫) কে আটক দেখিয়েছে।

এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলার কাঠুরিয়া গ্রামে।

শার্শা থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রুবার দুপুর ২টার পর ৫শত টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র পারিবারিক কলহের জেরে পিতা-মাতা,ছোট ভাই ও চাচা মিলে হাফেজ বাপ্পিকে বেদম ভাবে মারপিট করে।এ সময় বাপ্পির মা পাশে থাকা কুড়াল দিয়ে বাপ্পির মাথার পেছনের অংশে ঘাড়ের উপরে ৮থেকে ১১টি কোপ মারে।এ সময় স্থানীয়রা বাপ্পিকে উদ্ধার করে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী বিভাগের ডাক্তার অবস্থার অবনতি দেখে যশোর ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।এরপর যশোর ২৫০ শয্যা মডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকেও বাপ্পিকে ঢাকায় রেফার্ড করে।হাফেজ বাপ্পির স্বজনেরা তাৎক্ষনিক ঢাকায় নিয়ে বাপ্পিকে ইউনিভার্সাল হাসপাতালে ভর্তি করে।সেখানে ৩ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার পর বাপ্পি মারা যায়।

এ ব্যাপারে গ্রামের সাধারন মানুষ অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা থেকে এ্যাম্বুলেন্স করে হাফেজ বাপ্পির মরদেহ কাঠুরিয়া গ্রাামের নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে বাপ্পির এক আত্মীয় ও এলাকার একজন ইউপি সদস্য তড়িঘড়ি করে দাফনের প্রস্তুুতি নিলে এলাকার লোকজন ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে ঘটনাটি জানালে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।এ সময় শার্শা থানার পুলিশ নিহত বাপ্পির পিতা সফিকুল ইসলাম চান্দু ও ঘাতক মা সুফিয়া খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।তখন নিহত বাপ্পির ছোট ভাই রাব্বি ও তার চাচা ভুট্রো পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে আরও জানাগেছে, উলাশীর এক আত্মীয় নেতা ও এক ইউপি সদস্য ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য শার্শা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে হাফেজ বাপ্পি হত্যার মুল আসামী বাপ্পির মা সুফিয়া খাতুন,ছোট ভাই রাব্বি (২৪) ও চাচা ভট্রো হোসেন এর নাম বাদ দিয়ে শুধু মাত্র বাপ্পির পিতা সফিকুল ইসলাম চান্দুকে আসামী করেছে।যেটা গ্রামের সাধারন মানুষ মেনে নিতে পারছে না।পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে তদন্ত করে বাপ্পির পিতা ও মাকে আটকের পর কিসের বিনিময়ে এমন সাজানো মামলা করলো যা সাধারন জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ ।

এ ব্যাপারে নিহত বাপ্পির শ্বশুর শার্শার বসতপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম জানান, গত ২ মাস আগে তার মেয়ে তার বাড়িতে চলে যায়।এরপর বাপ্পি হত্যারপর তাদেরকে খবর দিয়ে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ১০ কাঠা জমির বিনিময়ে তাদের সাথে মামলা না করতে আপোষ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে আমেনা খাতুন তার শাশুড়ি , শ্বশুর ও দেবরের নামে মামলা দিয়েছে।এরপরে পুলিশ কিভাবে তার মেয়ের শ্বাশুড়ি ও দেবরের নাম বাদ দিয়ে মামলা রুজু করেছে তা তার জানা নেই।

এ ব্যাপারে গ্রামের সাধারন মানুষ পুলিশের উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের কাছে ঘটনাটি পিবিআই দিয়ে সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, ১জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাভারন সার্কেলের এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, এ ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।নিহতের পিতা মাতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে শার্শা থানায় আনা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com