লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে যারা নিজ প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলেন জনবান্ধব ইতিবাচক তিনিই হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন কাজিপুর থেকে বদলি রাজশাহীতে হয়েছেন।বিদায়ী ইউএনও কে সন্মানা স্মারক তুলে দিলেন কাজিপুর উপজেলা অফিসার ক্লাব।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র কার্যালয়ে বিদায়ী ইউএনও সোহরাব হোসেন কে স্মৃতি চারণ করে বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা খাতুন, থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার মোমেনা পারভীন পারুল, কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ জাকির হোসেন, শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান, ভেটেইনারি সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চিত্রা রানী সাহা, সমবায় অফিসার খালেদুজ্জামান, পল্লী উন্নয়ন অফিসার আব্দুল আউয়াল।
অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনা করেন পিআইও আলহাজ্ব একে এম শাহ আলম মোল্লা।
পরে বিদায়ী ইউএনও কে সন্মাননা স্মারক তুলে দেন উপজেলা অফিসার ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য অফিসার হাসান মাহমুদুল হক, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু জুবায়ের, আবু সাইদ, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি পরিমল কুমার তরফদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম।
উল্লেখ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন গত ১৩/১২/২০২৩ তারিখে কাজিপুরে যোগদান করে অদ্যবদি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে করেন।সম্প্রতিক তিনি কাজিপুর উপজেলা থেকে রাজশাহী জেলার পবা উপজেলায় বদলী হয়েছেন।
বিদায়কালে ইউএনও সোহরাব হোসেন বলেন, ভালো থাকুক কাজিপুর উপজেলার প্রতিটি মানুষ।আমার কর্মজীবনে সেরা সঞ্চয় পেয়েছি আপনাদের ভালোবাসা।সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে বদলিজনিত কারণে কোনো জেলায় বা উপজেলায় স্থায়ী হওয়ার সুযোগ নেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের।উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় সহকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অনেক রকমের সহয়তা আমি পেয়েছি।কাজ আদায় করার জন্য হয়তো কারো বিরাগভাজন হয়েছি।অনেক সময় ইতিবাচক আবার কখনো নেতিবাচক ভাবে মানুষকে উপস্থাপন করা হয়।খোলা চোখ দিয়ে সবকিছু দেখা যায় না। চোখের আড়ালেও অনেক কিছু থাকে।তবে নিজের অজান্তেও যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি, কারো প্রতি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।