মৌলভীবাজার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহেদা আক্তার এর বিরুদ্ধে জীবিকায়নের জন্য মহিলাদের দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের বকেয়া বেতন আত্মসাৎ ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জীবিকায়নের জন্য মহিলাদের দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের বিউটিফিকেশন ট্রেডের সাবেক প্রশিক্ষক সনজিতা সিনহা গত ১০ জুলাই মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ১৩ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবরে দুটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষক পদে সনজিতা সিনহা এক বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন কিন্তু চাকুরী নবায়ন না হলেও জানুয়ারি ২০১৮ থেকে পরবর্তী ছয়মাস কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চাকুরী করেন।২০১৮ সালের জুন মাসে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে চাকুরী নবায়নের নির্দেশ আসলে মৌলভীবাজার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহেদা আক্তার নতুন নিয়োগ ও নবায়ন খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিতে বলেন।
ভুক্তভোগী সনজিতা সিনহা বিষয়টি তৎকালীন জেলা প্রশাসক তোফায়েল আহমদ কে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ জানান এবং ২২ জুলাই ২০১৮ তারিখে চাকুরী নবায়নের জন্য প্রকল্প পরিচালক জাকিয়া জোয়াদ্দার এর নিকট আবেদন করেন।
অভিযোগপত্রে তিনি আরো জানান, চাকরিরত অবস্থায় গর্ভবতী ছিলাম, সেই সময় মাতৃকালীন ছুটি দেয়া হয়নি।২৬ দিনের বাচ্চা নিয়ে চাকরি করতে হয়েছে।এসব শুনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিয়া জোয়াদ্দার ট্রেজারি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।
মৌলভীবাজার জেলা ট্রেজারি অফিসে যোগাযোগ করার পর জানতে পারি জানুয়ারি হইতে মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং এপ্রিল হইতে জুন ২০১৮ পর্যন্ত ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়।
উক্ত বিষয়ে নিয়োগ কমিটিকে লিখিত জানালে জেলা মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক শাহেদা আক্তার ৬ মাসের বেতন ভাতা পরিশোধ না করে ২৮ জুন চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।পরবর্তীতে জেলা মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছে বেতন ভাতা পরিশোধ করবে বলে সময় চাইলেও আজ পর্যন্ত বেতন ভাতা পরিশোধ করেননি।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ প্রকল্পের নিয়োগ ব্যবস্থার কাজ পরিচালনা করছেন।এবং উনার বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ পরিচালনা অনিয়মের অভিযোগ এনে অনেকে লিখিত অভিযোগ করেন এমনটিও সনজিতা সিনহা তার লিখিত অভিযোগে জানান।এছাড়াও অভিযোগে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি করেন।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক শাহেদা আক্তার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।