ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর এম.এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে এবং মারধরের জন্য শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে উসকে দিচ্ছে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন।এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনির এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধাণ শিক্ষক সরোয়ার হোসেন সোহরাবের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১০ সেপ্টেম্বর স্কুল চলাকালীন সময়ে দুপুর ১ টার দিকে সীমান্ত কে স্কুলের অফিস কক্ষে ডেকে নেয় সহকারী প্রধান শিক্ষক সারোয়ার হোসেন।তাকে ডেকে নিয়ে ৫০০ টাকা হাতে দিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান স্কুলে আসলে তার উপর আক্রমণ করতে নির্দেশ দেন এবং আন্দোলন আরো কঠোর করতে বলেন।তখন সীমান্ত শিক্ষকের উপর আক্রমণ করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে চড় থাপ্পড় মারেন সরোয়ার হোসেন।সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের আর এক সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার সঠিক বিচার চেয়ে কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সীমান্তর অভিভাবক মো. মনির বেপারী।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুরে খাবার সময় সীমান্ত ক্লাস থেকে বের হয়েছে তারপরে আর ক্লাসে ফিরে আসে নাই।
এ বিষয়ে চেঁচরীরামপুর এম.এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন জানান, সীমান্তকে আমি ডাকি নাই ও অফিস রুমে এসে শিক্ষকদের চেয়ারে বসেছে।আমি তাকে একটা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসিয়ে রেখেছি।মারধরের কোন ঘটনা ঘটে নাই।বর্তমানে পুলিশের লাঠিই হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছে তাদেরকে মারতে যাবে কে।
এ বিষয়ে চেঁচরীরামপুর এম.এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন, আমার বিরুদ্ধে এলাকার কিছু বহিরাগত লোক টাকা দিয়ে উসকে দিয়েছে বিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক সারোয়ার হোসেন।২১ আগস্ট স্কুলে এসেছি তখন কিছু বহিরাগত লোকজন এসে আমার গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, স্কুলের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে।এ বিষয়ে আমি আদালতে মামলা করেছি।এজন্যই আমি কিছুদিন যাবৎ স্কুলে আসিনা তবে শিক্ষার্থীকে মারধর করার ঘটনা কোন ভালো বিষয় না।
এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।