বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগের হয়ে যারা গুলী, দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে তাদের মূল অধিনায়ক যারা যারা ছিলেন তারা ঘা ঢাকা দিয়েছে।আর যারা ১৫ বছর ধরে কিছু যুবলীগ, স্বেচ্ছসেবক লীগ, ছাত্র লীগের নিম্ন পদধারী আর কিছু সহযোগী ব্যক্তি তেলবাজি, চাটুকারিতা করেছে তারা এখন প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাথে অবৈধভাবে জায়গা দখল, লুটপাট চাঁদাবাজি, জুয়া ও সাধারণ জনগণের বাসায় মৃত্যুর হুমকি,জবরদস্তি অর্থের দাবি, মিথ্যা মামলার হুমকি, পুকুর দখল এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সক্রিয়ভাবে সাহস দিচ্ছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ উঠেছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরী ছিল গুলি, রাবারকুলেট, টিয়ারসেল সাউন্ড গ্রেনেড চলেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর।যে হামলায় ৫ আগস্ট ১৯ জন ছাত্র গুলিবিদ্ধ সহ ৮ জন দেশি অস্ত্রের হামলার শিখার এর মধ্যে ৪ ছাত্র রাজশাহীতে শহীদ হয়।আইনশৃঙ্খলা দুর্বল হওয়ার সুযোগ নিয়ে কিছু হামলাকারী এখনও বিচারের আওতায় আসেনি।কিন্তু তারা জনগণের উপরে অত্যাচার এখনো থামায়নি।
সরজমিনে ২৩ ও ২৪ নাম্বার ওয়ার্ডের নদীর পাড়ে উপস্থিত হলে এলাকাবাসীর কাছে জানা যায়, এই ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপরে যারা নির্মম ভাবে হামলা ও হত্যার কান্ডের সাথে জড়িত যারা মুল ইন্ধনদাতা ও টাকা দিয়ে মানুষ ভাড়া করেছে তাদের কোনো খোঁজ নেই।কিন্তু তাদের কিছু নিম্ন পদধারী তারা এখনও প্রকাশে রয়েছে।তারা রাজশাহী মহানগরীর ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগের পদ ধারী নেতারা যারা ছাত্রদের ওপর গুলি এবং অস্ত্র চালিয়েছিলেন বর্তমানেও তারা সকলে নিজ মহল্লায় অবস্থান করছে।যার ছবি ও ভিডিও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে রয়েছে প্রকাশও হয়েছে।আইন শৃঙ্খলাবাহিনী দুর্বল হওয়ার কারনে এরা প্রকাশে।এছাড়া কিছু বিএনপি এর নেতাকর্মী আড়ালে এদের মাথার ছাদ হয়ে আছে।
পঞ্চবটি এলাকার তুষার জানায়, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে চাঁদাবাজি, জুয়া, অবৈধ স্থাপনা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সাহস যোগান দিচ্ছেন তারা হলেন-যুবলীগ নেতা সুমন, যুবলীগ নেতা আনিসুর এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ড খরবনা নদীর ধারে যুবলীগের ক্যাডার আল-আমীন ও তার সহযোগীরা কিছু সংখ্যক রয়েছে নদীর ধার ও গাড়োয়ান পাড়ার যারা সম্পূর্ণরূপে মাদকের সাথে জড়িত।তাছাড়াও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও মহানগর ছাত্রলীগ নেতা রোজেলের ক্যাডার বাহিনী।২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আল্তু, ২৩ নাম্বার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইফাত, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, রুহুল ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী রবিন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী সান্জু, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী রুমন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা শাকিল, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা আরিফ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা মহান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা রহিদ , ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা রিদয়, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মিম, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা মুন্না,এদের উভয়ের সাং:শেখের চক পাচানি মাঠ।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে তারা এখনো প্রকাশ্যে নিজ এলাকায় অবস্থান করছে।এরা আগে আওয়ামী লীগের নামে দালালি করে এখন বিএনপির নাম করে বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা চাঁদাবাজি লুটপাট এবং নির্মাণিত লেক তৈরীর রড সিমেন্ট সহ আরো যাবতীয় মালামাল লুট ও মাদক ব্যবসায়ীর সাথে জড়িত রয়েছেন।
ঘটনা সত্যতা যাচাই করতে রাজশাহী মহানগর বিএনপির এক বৈঠকে জানা যায়, এরা বিএনপি’র কেউ না তারা সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের সাথে সংকৃপ্ত ও পদধারী এবং ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে কাজ করেছেন এরা এবং গত ৩-৪-৫ আগষ্ট সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী সহ বিএনপি নেতাকর্মীর উপরে পরিকল্পিত হামলা করেছিল।মইতিমধ্যে আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে এই তালিকাভুক্ত যারা রয়েছেন তারা জায়গা দখল, লুটপাট চাঁদাবাজি ও সাধারণ জনগণকে হুমকি এবং মাদক সম্রাটদের তারা আশ্রয় দিয়েছেন।এদের প্রত্যেকের গত চলমান ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা যে কাজ করেছিলেন তার প্রত্যেকটা ফুটেজ রয়েছে
বিএনপি’র নেতারা আরও আশ্বস্ত করেন, যারা জাতীয়তাবাদী দলের নাম করে অসৎ কাজে লিপ্ত থাকবে তাদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক জনাব তারেক রহমান বলেছেন, অবিলম্বে তাদের দল থেকে বরিষ্কার করা হবে এবং তারা এটাও জানান এদের আগে পিছে যদি কোন বিএনপি নেতাকর্মী জড়িত থাকে তাদেরকে দল থেকে বরিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই কথা জানান রাজশাহী মহানগর বিএনপি।