রাজশাহীতে গণপিটুনির পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের কর্মচারী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নিহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতাকে রাজশাহীর বিনোদপুরর এলাকা থেকে খুঁজে বের করে ছাত্ররা।পরে সেখানই গণপিটুনি দিয়ে প্রথমে মতিহার থানা পুলিশে কাছে দেয়।সেখান থেকে তাকে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত আব্দুল আল মাসুদ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারে স্টোর অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন।তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়।তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম।
নিহত মাসুদ গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছিলেন।স্বপরিবার চাকিরীর সুবাদে তিনি নগরীর বিনোদপুরে থাকতেন।
২০১৪ সালে রাবি ছাত্রলীগের নেতা থাকাকালীন দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মাসুদের পায়ের গড়ালি পর্যন্ত কেটে নিয়েছিলো।তার আগে তিনি রাবিতে অস্ত্রবাজ নামে পরিচিত ছিলেন।প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতেও তাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংগঠনকে দমন করতে দেখা গেছে ওই সময়।
বছর দুয়েক আগে মাসুদকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুপারিশে সেই রাবিতেই চাকরি দেয়া হয়।এরপর থেকে তিনি নগরীর বিনোদপুর এলাকায় থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত মাসুদ রাত ১০ টার দিকে বাড়ি থেকে রাজশাহী বিনোদপুর বাজারে ওষুধ কেনার জন্য আসলে গণপিটুনির শিকার হোন।পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মতিহার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে নেওয়া হয় বোয়ালিয়া থানায়।এরপর মাসুদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।পরবর্তীতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ জানান, নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।