টানা বর্ষণ ও ভারতের ডাম্বুরা বাঁধ অপরিকল্পিতভাবে ছেড়ে দেওয়ায় রাজনৈতিক বন্যায় প্লাবিত হয় বাংলাদেশের ১২ টি জেলা। পানিবন্দি রয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত বন্যায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। পানিবন্দি মানুষদের খাদ্য দ্রব্য দিয়ে সহযোগীতা করছে দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ফাউন্ডেশন,সংগঠন ও বিভিন্ন সংস্থাসহ সেনাসদস্যরা। তারই ধারাবাহিকতায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সামাজিক সংগঠন "একটি স্বপ্ন-সোপান" নালিতাবাড়ী থেকে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বন্যার্তদের।
৩১ আগষ্ট শনিবার বন্যার ১১ তম দিনে নোয়াখালি উপজেলার সাবেক বেগমগঞ্জ বর্তমান সোনাইমুড়ি উপজেলার নাটেশ্বর গ্রামের পানিবন্দি পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সাধ্যমত সহযোগীতা করেন। এ সময় তারা বন্যার্ত মানুষকে নগদ অর্থ প্রদান করেন।
যেহেতু বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী সংস্থা ত্রাণের পণ্য বিতরণ করছে। আর এই দুর্ভোগের সময় বন্যার্তদের নগদ অর্থেরও অনেক প্রয়োজন হয়। সেই বিবেচনাতেই নগদ অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানাগেছে, একটি স্বপ্ন-সোপান ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সামাজিক কর্মকান্ডে নানা ভাবে অবদান রেখেছে। স্কুলে শিক্ষার্থীদের রচনা প্রতিযোগীতা, বৃক্ষ রোপণের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক আলোচনা ও বৃক্ষ বিতরণ অনুষ্ঠান, রাস্তা নির্মাণ, করোনা সচেতনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, বৃক্ষ রোপণ, মাসিক তাফসির মাহফিল, পাঠাগার স্থাপণ ও পরিচালনা, তালবীজ রোপণ, রাস্তা সংস্কার, ঈদ সামগ্রী বিতরণ, ইফতার সামগ্রী বিতরণসহ নানা কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে আসছে।
ত্রাণ বিতরণ শেষে একটি স্বপ্ন-সোপান এর সভাপতি মাহমুদুল হাসান রাব্বানী বলেন,- "একটি স্বপ্ন-সোপান সবসময় প্রয়োজনের যথার্থতা খোঁজার চেষ্টা করেন। আর সেই ধারাবাহিকতাতেই, আমরা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে যেখানে ত্রাণের স্বাভাবিক গতি বহমান নেই, সেইসব গৃহবন্দি মানুষদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি এতে তারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।"
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মুফতি আলমগীর হোসাইন নানুভী বলেন,-" বন্যায় দুর্গতদের কষ্ট সীমাহীন। তাদের পাশে দাঁড়ানো, সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করা, সকলের ঈমানী দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই একটি সপ্ন সোপান এগিয়ে এসেছে এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা আশাবাদী ভবিষ্যতেও যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং মানবকল্যাণে একটি স্বপ্ন সোপান অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।"
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।