কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রেললাইন অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহীর সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে রেলপথের ওপর অবস্থান নেয়।এ সময় নানা স্লোগান দিতে শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বহালে গত ৫ জুনে রায় দেন হাইকোর্ট।তবে, কোটাব্যবস্থা বাতিলে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবি তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে তাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চলে আসছে।প্রথম দুই দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে।এর মধ্যে সরকারের উদ্দেশে তারা যৌক্তিক কোটা সংস্কারে একদফা দাবি জানায়।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ফের এই কর্মসূচি পালন করে তারা।এরপর শুক্রবার (১২ জুলাই) দেশের সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
এর মধ্যে গত বুধবার (১০ জুলাই) হাইকোর্টের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতিবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।আগামী ৭ আগষ্ট এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।
কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো:
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।