রাজশাহীর বাঘায় পাথর বোঝায় ট্রাকের ধাক্কায় সমাপ্তি সরকার (১৪) নামে এক স্কুলগামী ছাত্রী আহত হয়েছে এবং ঘাতক ট্রাকের চালককে আটক করে গণপিটুনী দিয়েছে স্থানীরা।
রোববার ২ জুন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে (ঈশ্বরদী-বানেশ্বর) সড়কে উপজেলা সদরে বাঘা রহমতুল্লাহ্ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গেট সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। সমাপ্তি সরকার রহমতুল্লাহ্ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও উপজেলার বলিহার গ্রামের শ্যামল কুমার সরকারের মেয়ে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সমাপ্তি সরকার রোববার সকাল ৭টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে সাইকেল যোগে স্কুলে আসছিল। স্কুলে প্রবেশ গেটের সামনে সুপার সনি নামের একটি বাস দাঁড় করানো ছিল। বাসটিকে পেরিয়ে স্কুল গেটে প্রবেশকালে পেছন দিক থেকে পাথর বোঝায় ট্রাক ধাক্কা দেয় তাকে। এতে সমাপ্তি সরকার সড়কে ছিটকে পড়লে পাথর বোঝায় ট্রাকটির চাকায় ডান হাত ও ডান পায়ের গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীরা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠান।
এ সময় স্কুল গেটের সামনে দাঁড়নো সুপার সনি বাসটির গ্লাস ভাংচুর করে স্থানীয় জনতা । পরে পাথর বোঝায় ট্রাক চালক আবদুল আলিমকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। আবদুল আলিম টাংগাইলের সখিপুরের গেচুয়া গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে।
স্কুলছাত্রীর মেজ বোন পম্পা সকারের সাথে দুপুর ২ টায় মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, তাকে রামেক হাসপাতালে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হচ্ছে। রাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হবে।
বাঘা রহমতুল্লাহ্ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলাম দুপুর আড়াইটায় মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা শারীরিক অবস্থা ভাল না।দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হচ্ছে । এ বিষয়ে চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার বিষয়ে ৭২ ঘন্টা না যাওয়া পর্যন্ত কোন কিছুই বলা যাচ্ছে না।
বাঘা থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সোয়েব খান বলেন, এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর ভাই রঞ্জন কুমার সরকার বাদি হয়ে ট্রাক চালককে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেছেন। পাথর বোঝায় ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।