ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ,স্থানীয় দালাল চক্রের রফাদফার চেষ্টা দান-সাদকায় মানুষের দুনিয়া ও পরকালের জীবন হয় সম্মান ও গৌরব মণ্ডিত সাংবাদিককে রেল কর্মকর্তার হুমকির প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ ৪০০ পথচারী রোজাদারের হাতে ইফতারি তুলে দিলেন  মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত মান্দায় প্রতিপক্ষের মারপিটে নারীসহ আহত ৫ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া গলাচিপায় জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা ঈশ্বরদীতে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ মোরেলগঞ্জে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন

সেই অগ্নিদগ্ধ মারিয়া আর বেঁচে নেই

নান্দাইল(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ মারিয়া (৫) আর নেই।শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ভোর ৬ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

মারিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি “যমুনা প্রতিদিন কে” নিশ্চিত করেছেন তারই নানা মো. মামুন মিয়া।

মারিয়া নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের ঝাল মুড়ি বিক্রেতা বিপুল মিয়া ও গৃহিণী আলপিনা আক্তার কন্যা।

গত ৮ জানুয়ারি বিকালে মারিয়া শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত চুলার আগুন শরীরে লেগে যায়।এতে আগুনে পুড়ে যায় পেটের নিচের অংশ ও দুই পায়ের কিছু অংশ।অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পেয়ে স্থানীয় এক কবিরাজের সহযোগিতায় হলুদ ও লবণ মেখে চিকিৎসা করান। চিকিৎসার বিলম্ব হওয়াতে মারিয়ার শরীরে ধীরে ধীরে পচন ধরে।পরে ১৭ জানুয়ারি সিংদই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আনিছার মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়।অবস্থার অবনতি হলে ১৮ জানুয়ারি।ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করান।

এ নিয়ে ১৯ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে “আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ, চিকিৎসার অভাবে শিশুর শরীরে পচন” সংবাদ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ৮ দিন চিকিৎসাধী থেকে মৃত্যু হয়। মারিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে পরিবারটিতে।

মারিয়ার বাবা পিপুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে মুঠোফোনে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার কলিজার টুকরো মেয়েটাকে বাঁচাইতে পারলাম না।আমি অনেক চেষ্টা করছি আল্লাহ্ আমার মারিয়া ‘রে নিয়ে গেছে।আমি এহন কি থাকবো গো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সেই অগ্নিদগ্ধ মারিয়া আর বেঁচে নেই

আপডেট সময় : ০৮:৫১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ মারিয়া (৫) আর নেই।শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ভোর ৬ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

মারিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি “যমুনা প্রতিদিন কে” নিশ্চিত করেছেন তারই নানা মো. মামুন মিয়া।

মারিয়া নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের ঝাল মুড়ি বিক্রেতা বিপুল মিয়া ও গৃহিণী আলপিনা আক্তার কন্যা।

গত ৮ জানুয়ারি বিকালে মারিয়া শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত চুলার আগুন শরীরে লেগে যায়।এতে আগুনে পুড়ে যায় পেটের নিচের অংশ ও দুই পায়ের কিছু অংশ।অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পেয়ে স্থানীয় এক কবিরাজের সহযোগিতায় হলুদ ও লবণ মেখে চিকিৎসা করান। চিকিৎসার বিলম্ব হওয়াতে মারিয়ার শরীরে ধীরে ধীরে পচন ধরে।পরে ১৭ জানুয়ারি সিংদই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আনিছার মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়।অবস্থার অবনতি হলে ১৮ জানুয়ারি।ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করান।

এ নিয়ে ১৯ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে “আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ, চিকিৎসার অভাবে শিশুর শরীরে পচন” সংবাদ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ৮ দিন চিকিৎসাধী থেকে মৃত্যু হয়। মারিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে পরিবারটিতে।

মারিয়ার বাবা পিপুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে মুঠোফোনে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার কলিজার টুকরো মেয়েটাকে বাঁচাইতে পারলাম না।আমি অনেক চেষ্টা করছি আল্লাহ্ আমার মারিয়া ‘রে নিয়ে গেছে।আমি এহন কি থাকবো গো।