আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মাঠ পরিদর্শন শেষে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন,‘আওয়ামী লীগের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবার যে পরিকল্পনা সেটি মানুষ শুনতে চায়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে চেয়েছিলেন,তা হয়ে গেছে।আমরা সুফল পাচ্ছি।এখন তিনি তরুণদের নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চান। সেটাও হবে।মাঠ শুধু নয়,মাঠের বাইরেও প্রচুর মানুষ থাকবে।প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা শুনতেই মানুষের ঢল নামবে।’
তিনি আরো বলেন,‘এই জনসভায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর,নাটোর,নওগাঁ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।এর পাশাপাশি রাজশাহী বিভাগের অন্য জেলাগুলো থেকেও যদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আসতে চান,আসবেন।আমরা কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম আশা করছি।’
এই জনসভা নির্বাচনি জনসভা কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন,‘নির্বাচনের আগের বছর তো নির্বাচনি বছর হিসেবেই কাউন্ট করা হয়।প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন যে,“আমি নির্বাচনি প্রচারণায় নেমে গেলাম।” নির্বাচন এলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে যেন উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দেখা দেয়।এর আগেই প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর জনসভা থেকে জনগণকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।’
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলী কামাল,সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার,রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা,আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।