ঢাকা ০৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রশিক্ষণ যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে : এসপি সাদিরা খাতুন মধুখালীতে আখের সাথী ফসলের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে ডিবি পুলিশের অভিযানে ৮০ বোতল ফায়ারডিলসহ একজন আটক ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধর ৩ বিঘা জমির পাকা ভুট্টা ট্রাক্টর চালিয়ে নষ্টের অভিযোগ ঈশ্বরদীতে ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ আনোয়ারায় চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দেন ইউপি সদস্য মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ নন্দীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা কবিতা: হেড স্যার একযুগ পর মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু,প্রসুতি ময়নার সফল সিজার

আব্বার মতো হওয়া আমার জন্য অনেক কঠিন : নাসিম পুত্র জয়

মারুফ সরকার,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন একজন চৌকস রাজনীতিক মারুষ।তিনি সবার নয়নের মনি ছিলে।তার কথা সিরাজগঞ্জসহ সারা দেশের মানুষ মনে রাখবে।

একাধারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।এর পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে রেখেছেন সর্বোচ্চ নজরদারি।যার কারণে তার নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ-১ হয়েছে উন্নত।সিরাজগঞ্জ-১ এ যে যাবে সেই বলবে উন্নয়নের ছোয়া কতটুকু হয়েছে।

রাজনৈতিক বিভিন্ন টানাপোড়েনের মধ্যেও তিনি আওয়ামী লীগকে কখনো ছাড়েননি। নাসিমের মৃত্যুর পর সেই আসনে নির্বাচিত হন তার সুযোগ্য ছেলে প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয়।নির্বাচনের সময় বাবার আদর্শকেই সামনে রেখে তিনি এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।নির্বাচিত হওয়ার দুই বছর পর তিনি বলছেন, ‘আব্বার মতো হওয়া আমার জন্য অনেক কঠিন।’

একটি অনলাইন পোর্টালকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি অনেক কথা বলেন।সাক্ষাতকারের কিছু অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো ।

আপনার এলাকায় সাংগঠনিক অগ্রগতি কতটুকু?

তানভির শাকিল জয় :সাংগঠনিকভাবে আমাদের অগ্রগতি যথেষ্ট আছে।তৃণমূল ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, থানা পর্যন্ত আমরা সম্মেলন করেছি।সকল সংগঠনকে সম্পৃক্ত করছি।সাংগঠনিকভাবে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলে আত্মতৃপ্তি আছে।’

এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কতটুকু হয়েছে?

তানভির শাকিল জয় : ‘অবকাঠামোগত দিক থেকে আমার একটু আত্মতৃপ্তির ঘাটতি আছে।বাবা যে প্রকল্পগুলো করেছেন, যেগুলো চলমান ছিল সেই কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।চার লেন হাইওয়ে সেটির কাজ সড়ক ও জনপথ খুব ধীরগতিতে করছে। ওখানে নদী বন্দর ঘোষণা করা হয়েছিল।সে বিষয়টি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় অর্থ সংকটের কারণে করতে পারছে না। এছাড়া বাফার গুদাম যাওয়ার কথা ছিল সেটিও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অর্থ সংকটের কারণে এখনও কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।’

নিজের উদ্যোগে কি কি করেছেন?

তানভির শাকিল জয় : ‘আমি নিজের উদ্যোগে কাবিখার মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ করে চরাঞ্চলে অনেক রাস্তাঘাট করেছি। যেটি বাংলাদেশের মোটামুটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় নিউজ এসেছে এবং নদী ভাঙন রোধ করার জন্য যে কাজগুলো হচ্ছে সেগুলোরও ভালো অগ্রগতি রয়েছে।’

নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, বাবার কাজ ও সুনামের ৩০ শতাংশ যেতে পারলে আপনার জীবন সার্থক। গত দুই বছরে সেই ৩০ শতাংশের কতটা অর্জন করতে পেরেছেন?

তানভির শাকিল জয় : ‘আব্বার মতো হওয়া অনেক কঠিন। তার ৩০ শতাংশ হওয়াও অনেক কঠিন। তার মতো হতে আমার আরো অনেক সময় লাগবে। আমি এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। সাংগঠনিক এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে আমার সফলতা আছে বলে আমি মনে করি। আমি মূলত আব্বার আদর্শকে সামনে রেখে মানুষের সেবা করে যেতে চাই।’

অর্থনৈতিক সংকটে আপনার এলাকার উন্নয়নে বাঁধা পরেছে কিনা?

তানভির শাকিল জয় : ‘যদি সামগ্রিক অর্থনৈতিক সংকট পরিস্থিতি না থাকত তাহলে হয়তবা আমার এলাকায় আরো অনেক উন্নয়ন হতো। সরকারি প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে আমার চেষ্টা সত্ত্বেও সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ফলাফল ততটা সন্তোষজনক নয়।এই সমস্যা কাটলে আমি আশা করি হাতে থাকা উন্নয়ন কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে পারবো।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আব্বার মতো হওয়া আমার জন্য অনেক কঠিন : নাসিম পুত্র জয়

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন একজন চৌকস রাজনীতিক মারুষ।তিনি সবার নয়নের মনি ছিলে।তার কথা সিরাজগঞ্জসহ সারা দেশের মানুষ মনে রাখবে।

একাধারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।এর পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে রেখেছেন সর্বোচ্চ নজরদারি।যার কারণে তার নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ-১ হয়েছে উন্নত।সিরাজগঞ্জ-১ এ যে যাবে সেই বলবে উন্নয়নের ছোয়া কতটুকু হয়েছে।

রাজনৈতিক বিভিন্ন টানাপোড়েনের মধ্যেও তিনি আওয়ামী লীগকে কখনো ছাড়েননি। নাসিমের মৃত্যুর পর সেই আসনে নির্বাচিত হন তার সুযোগ্য ছেলে প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয়।নির্বাচনের সময় বাবার আদর্শকেই সামনে রেখে তিনি এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।নির্বাচিত হওয়ার দুই বছর পর তিনি বলছেন, ‘আব্বার মতো হওয়া আমার জন্য অনেক কঠিন।’

একটি অনলাইন পোর্টালকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি অনেক কথা বলেন।সাক্ষাতকারের কিছু অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো ।

আপনার এলাকায় সাংগঠনিক অগ্রগতি কতটুকু?

তানভির শাকিল জয় :সাংগঠনিকভাবে আমাদের অগ্রগতি যথেষ্ট আছে।তৃণমূল ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, থানা পর্যন্ত আমরা সম্মেলন করেছি।সকল সংগঠনকে সম্পৃক্ত করছি।সাংগঠনিকভাবে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলে আত্মতৃপ্তি আছে।’

এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কতটুকু হয়েছে?

তানভির শাকিল জয় : ‘অবকাঠামোগত দিক থেকে আমার একটু আত্মতৃপ্তির ঘাটতি আছে।বাবা যে প্রকল্পগুলো করেছেন, যেগুলো চলমান ছিল সেই কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।চার লেন হাইওয়ে সেটির কাজ সড়ক ও জনপথ খুব ধীরগতিতে করছে। ওখানে নদী বন্দর ঘোষণা করা হয়েছিল।সে বিষয়টি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় অর্থ সংকটের কারণে করতে পারছে না। এছাড়া বাফার গুদাম যাওয়ার কথা ছিল সেটিও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অর্থ সংকটের কারণে এখনও কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।’

নিজের উদ্যোগে কি কি করেছেন?

তানভির শাকিল জয় : ‘আমি নিজের উদ্যোগে কাবিখার মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ করে চরাঞ্চলে অনেক রাস্তাঘাট করেছি। যেটি বাংলাদেশের মোটামুটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় নিউজ এসেছে এবং নদী ভাঙন রোধ করার জন্য যে কাজগুলো হচ্ছে সেগুলোরও ভালো অগ্রগতি রয়েছে।’

নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, বাবার কাজ ও সুনামের ৩০ শতাংশ যেতে পারলে আপনার জীবন সার্থক। গত দুই বছরে সেই ৩০ শতাংশের কতটা অর্জন করতে পেরেছেন?

তানভির শাকিল জয় : ‘আব্বার মতো হওয়া অনেক কঠিন। তার ৩০ শতাংশ হওয়াও অনেক কঠিন। তার মতো হতে আমার আরো অনেক সময় লাগবে। আমি এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। সাংগঠনিক এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে আমার সফলতা আছে বলে আমি মনে করি। আমি মূলত আব্বার আদর্শকে সামনে রেখে মানুষের সেবা করে যেতে চাই।’

অর্থনৈতিক সংকটে আপনার এলাকার উন্নয়নে বাঁধা পরেছে কিনা?

তানভির শাকিল জয় : ‘যদি সামগ্রিক অর্থনৈতিক সংকট পরিস্থিতি না থাকত তাহলে হয়তবা আমার এলাকায় আরো অনেক উন্নয়ন হতো। সরকারি প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে আমার চেষ্টা সত্ত্বেও সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ফলাফল ততটা সন্তোষজনক নয়।এই সমস্যা কাটলে আমি আশা করি হাতে থাকা উন্নয়ন কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে পারবো।’