ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেছে স্বেচ্ছাসেবী ও দাতব্য সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই সহায়তা প্রদান করা হয়।
ভাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণরত মোট ৬০ জন হতদরিদ্র শিক্ষার্থীকে এককালীন সহায়তা হিসেবে প্রতিজনকে শ্রেণীভেদে নগদ দুই/তিন/চার হাজার টাকা ও এক হাজার টাকার শিক্ষা উপকরণ সহ সর্বমোট দুই লাখ আটত্রিশ হাজার টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়।মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিভিন্ন লেভেলে শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়।
বিদ্যানন্দের কার্যনির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি. এম. কুদরত-ই-খুদা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন "দরিদ্র পীড়িত ভাঙ্গা উপজেলার দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে নেয়ার জন্য বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা খুবই প্রশংসনীয়।তিনি শিক্ষার্থীদের মাদক ও সাইবার অপরাধ নিয়ে সচেতনাতামূলক বক্তব্য দেন।স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে প্রতি বছর বিদ্যানন্দ শিক্ষা বৃত্তি প্রোগ্রাম করে থাকে।এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে সারা দেশ ব্যাপী বিভিন্ন উপজেলায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হবে।এর মধ্যে আজ ভাঙ্গা উপজেলায় ৬০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
দেশ বিদেশে ভিন্নতর ও অভিনব সব আইডিয়া নিয়ে সেবামূলক কাজ করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে বিদ্যানন্দ।বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে কেউ যখন ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছিলোনা তখন জীবনবাজী রেখে করোনা মহামারী মোকাবেলায় সম্মুখসমরে যুদ্ধ করে সাধারণ মানুষের ভালবাসা অর্জন করে নেয় এই প্রতিষ্ঠান।সমাজসেবায় তাদের অসামান্য সব অবদানের জন্য ২০২৩ সালে সরকার তাদের একুশে পদকে ভূষিত করে।এছাড়াও ২০২২ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় মানবকল্যাণ পদক ও ২০২১ সালে বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কর্তৃক "কমনওয়েলথ পয়েন্টস অফ লাইট" পদকে ভূষিত হয় এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।