বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাগমারাবাসীর সেবা করে যেতে চাই-এমপি আবুল কালাম আজাদ প্রচন্ড দাবদাহে পথচারী ও শ্রমজীবীদের মধ্যে হাতীবান্ধায় শরবত বিতরণ কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছালাম মৃধার উঠান বৈঠকে জনতার ঢল নিজেই এখন গরম ও লোডশেডিং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুঃখ প্রকাশ,দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার আশুলিয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের মে দিবসের প্রস্তুতি সভা মাদক অপরাধ করতে উৎসাহিত করে : রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর আদালতের নির্দেশে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া মূর্তি মহাস্থান জাদুঘরে হস্তান্তর লিগ্যাল এইড’র পক্ষ থেকে রাসিক মেয়রকে সম্মাননা স্মারক প্রদান
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

বাগমারায় ড্রাম চিমনি ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ

রাজশাহী বাগমারা উপজেলার হাট গাঙ্গোপাড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটিয়ে প্রকাশ্যে চলছে অবৈধ ড্রাম চিমনি ইটভাটা।

বনের কাঠ, কৃষির জমির মাটি ব্যবহার করা ছাড়াও গুরুতর আইন লংঘন করছে এই ইটভাটা মালিকরা।

স্থানীয় প্রভাবশালীরা ২০১৩ সাল সরকার কতৃক প্রণীত ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ভাঙলেও মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন।ইটভাটায় টিনের চিমনি ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ থাকলেও তা কেউ আমলে নিচ্ছে না। এসব ইটভাটায় টিনের ড্রাম দিয়ে চিমনি বানানো হয়েছে। টিনের ড্রামের চুল্লি ব্যবহার বন্ধসহ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নীতিমালা কার্যকর করার কথা থাকলেও প্রশাসন সেই পথে হাঁটছে না। প্রশাসন যেন মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। নাকের ডগায় ইটভাটা নীতি লংঘন করলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ,বাগমারা উপজেলার ১৭ টি ড্রাম চিমনী ইটভাটার নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। সরকারি নিয়ম নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে এ সকল ইটভাটা পরিচালনা করা হলেও আইনগতভাবে তাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান না করে ওই সকল ইটভাটা পরিচালনা করতে সরাসরি সহযোগিতা করছে স্থানীয় প্রশাসন।

অবৈধ ইটভাটাগুলোর মধ্যে আউচপাড়া ইউনিয়নের দেওপাড়া প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন জালাল উদ্দীনের এমএইচএবি ইট ভাটা,গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নে খোরশেদ আলমের বিআরবি ব্রিক্স, সাইফুল ইসলামের এএনএএম ব্রিক্স, আফসার আলীর এসটিএআর ব্রিক্স, বাবুল হোসেনের এআরআইএফ ব্রিক্স, শহিদুল ইসলামের এমআইএসজি ব্রিক্স, নরদাশ ইউনিয়নের আব্দুস সামাদ প্রাং এর এমআরএবি ব্রিক্স, একই ইউনিয়নের আবুল কাশেমের ২০২২ ব্রিক্স জয়পুর, শফিকুল ইসলামের এমএস-২ ব্রিক্স, কাউসার হাবিব এর মনির ব্রিক্স, মঞ্জুর রহমানের মমেনা ব্রিক্স, জাহিদুল ইসলামের কেজেএ ব্রিক্স, দ্বীপপুর ইউনিয়নের সোহরাব হোসেন তোতার এমএমবি ব্রিক্স, আউচপাড়া ইউনিয়নের দুলাল হোসেনের এসটিবি ব্রিক্স, একই ইউনিয়নের জিএম হাফিজুর ইসলামের একতা ব্রিক্স, আনছার আলীর এমএসবি ব্রিক্স, বাসুপাড়া ইউনিয়নের রেজাউল হকের এমএবি ব্রিক্স, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের কালাম হোসেনের রুমা ব্রিক্স।

সরেজমিনে ওই সকল ড্রাম চিমনী ইটভাটায় দিয়ে দেখা গেছে, ইটভাটা গুলোতে বাঁশের গুরির পাশাপাশি সরকারি রাস্তার বিভিন্ন গাছপালা কেটে পুড়ানো হচ্ছে।এ ব্যাপারে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন কোন ভূমিকা নিচ্ছেনা। ফলে দিনের পর দিন ওই সকল ইটভাটার মালিকরা বেপরোয়াভাবে তাদের অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।এতে জনমনে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জরুরি ভিত্তিতে পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতিকারি অবৈধ ড্রাম চিমনী ইটভাটা উচ্ছেদের জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।

অবৈধ ভাটার বিষয়ে মালিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,প্রতিবেদন করে কোন লাভ হবে না, আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ কাজ করছি।

তাদের খুঁটির জোর এতটাই শক্তিশালী যে প্রকাশ্য বলে আমাদের ভাটা বন্ধ করার ক্ষমতা কারো নেই আপনার যা পারেন করেন দাম্ভিকতার সাথে বলতে থাকেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ, এফ, এম আবু সুফিয়ান বলেন,আমরা অবৈধ ড্রাম চিমনী ইটভাটার তালিকা তৈরি করছি।আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।কিছু বন্ধ করেছি।যেসব অবৈধ ড্রামচিমনী এখনো চলমান সেগুলোতে অতি দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে একেবারে বন্ধ করে দেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x