জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : মেয়াদ পূর্ণ হবার তিন মাস আগেই অব্যাহতি নিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান।নিয়ম লঙ্ঘন করে এই কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় গ্রেডে বেতন দিয়ে সরকারের বেতন স্কেলের ব্যত্যয় ঘটানোর পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হবার পরেই মঙ্গলবার ‘পারিবারিক কারণ’ দেখিয়ে অব্যাহতির আবেদন করেন মো. ওহিদুজ্জামান, যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণও করেছে।পাশাপাশি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আইনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চাকরির স্বাভাবিক মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত বছরের ১৪ জুন এক বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন মো. ওহিদুজ্জামান।আগামী জুনে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী, স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী তৃতীয় গ্রেড বা তার ওপরের গ্রেডে বেতন পাবেন না।কিন্তু ইউজিসির বাজেট দল গত মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট পর্যালোচনা করার সময় দেখতে পায় পদত্যাগ করা রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামানকে দ্বিতীয় গ্রেডে বেতন দেওয়া হয়েছে।এ জন্য জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পুনর্নির্ধারণ করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে ইউজিসি।এর মধ্যেই পদত্যাগ করলেন মো. ওহিদুজ্জামান।
এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.সাদেকা হালিম বলেন, রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আমরা ইউজিসির অভিযোগ পত্র হাতে পেয়েছি এবং বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।