কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরীর উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চল চর কুমদপুর গ্রামের ২৩ বছর বয়সী মোকাররম আলী ৬ বৎসর বয়স থেকেই ভুগছেন এই বিরল রোগে।মোকাররম কে দেখতে বয়োজ্যেষ্ঠ হলেও বয়স তার মাত্র ২৩ বছর।এমন বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়ার কারণ সুচিকিৎসার অভাব।
দীর্ঘদিন থেকে এভাবেই যন্ত্রণাভোগ করে আসছেন অসহায় পরিবারের এক মাত্র আলোর প্রদীপ মোকাররম আলী।যে বয়সে তার থাকার কথা কলেজ জীবন সেই বয়সে এই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে আছেন বিছানায়।
পরিবারের দাবি, বছরের পর বছর নিজ জেলা থেকে ঢাকার সরকারি বেসরকারি অনেক হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসা করলেও মেলেনি সুফল বড় বড় ডাক্তার দেখিয়েও হয়নি কোনো সুচিকিৎসা।
এদিকে মোকাররমের চিকিৎসার পিছনেই অসহায় পরিবারটি সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে দুর্দশা আর অভাব অনটনে খেয়ে না খেয়ে কাটছে দিন রাত।ভিটা মাটি সহ ফসলি জমিজও বিক্রি করছে হয়েছে চিকিৎসার পিছনে।এমন হতাশায় তবুও স্বপ্ন ছিলো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পাওয়ার।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ফিরে পায়নি সুস্থতা।এখন হতাশায় রয়েছেন দরিদ্র পরিবারটি। অর্থের অভাবে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসা করা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তার ৬ বছর বয়সে তার শরীরে অ্যালার্জির মতো কিছু উঠে সেটা ধীরে ধীরে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ার পর ফেটে গিয়ে শরীলে ফুলে থাকে পরে স্থনীয় ডাক্তারদের পরামর্শে জেলার বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখান।
এভাবেই দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিলেও দিন দিন অবনতির দিকে এগিয়ে গেলে অবশেষ ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে কলেজে গেলে ওখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পায় "লিপোড প্রোটিনোসিস" নামক একটি বিরল রোগে একান্ত হয়েছে মোকাররম আলী।
তবে এলাকাবাসী ও পরিবারটির দাবি, সরকার থেকে উন্নত মানের চিকিৎসার সুযোগ করে দিলে সুন্দর জীবন ফিরে পাবে মোকররম আলী।
তবে এই "লিপোড প্রোটিনোসিস" হলো একটি রোগের নাম, যা মোটামুটি অনুবাদে হতে পারে "চর্বি প্রোটিনোসিস" বা "লিপিড প্রোটিনোসিস"
লিপোড প্রোটিনোসিস বা লিপোড সিনথিসিস হলো লিপিড (অথবা চর্বি) গঠনের পথ বা প্রক্রিয়া।এটি একটি জীবাণু, জীবদণ্ড, অথবা অন্য কোন সেলুলার সংস্থানে ঘটিত হতে পারে।এই প্রক্রিয়ায় লিপিড সম্পাদন হয় এবং নতুন লিপিড তৈরি হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে, লিপোড প্রোটিনোসিস সমস্যার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা এই প্রক্রিয়ার অসম্মানিত বা অস্বাভাবিক ঘটনাদ্বন্দ্ব বিশ্লেষণ করে এবং চিকিৎসা প্রদান করেন চিকিৎসা উপায়ে মাধ্যমে লিপোড প্রোটিনোসিস মানব জীবনকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে চেষ্টা করা হয়।
মোকরামের বাবা জানান, আমার ছেলে মোকাররম ছোট্ট থেকেই এরোগে আক্রান্ত হন অনেক চিকিৎসা করেও সুস্থ করতে পারিনি।আমার ছেলে অনেক মেধাবী লেখাপড়ার খুবই ইচ্ছে কিন্তু তার শরীরের এমন করুণ অবস্থা দেখে যেতে পারে না স্কুলে।সরকারের কাছে আমার দাবি আমার ছেলের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে জেনো দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।