খুলনার পাইকগাছায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার মামুন দম্পতিসহ তাদের গুন্ডা বাহিনীর বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা চেষ্টা, মারপিট, চুরি ও টাকা ছিনতাই ও ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
সাংবাদিক শেখ সেকান্দার আলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) পাইকগাছা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি মামলা নং সি আর ১১৭/২৩ তারিখ ২৪/১/২৩।
মামলা সুত্রে জানা যায়,গত ১৯ জানুয়ারি উপজেলার আগড়ঘাটা উপ-স্বাস্হ্য কেন্দ্রের ডা: মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন অনুপস্হিত থাকায় সেখানকার আয়া ডাক্তারের চেয়ারে বসে রুগি দেখেন ও ঔষধ দিতে থাকেন। খবর পেয়ে সাংবাদিক আব্দুল মজিদ বিষয়টি উপজেলা হাসপাতালের প্রধান ডাঃ নিতীশ গোলদারকে অবগত করেন।তিনি ঘটনার ছবি তুলে তাকে দিতে বলেন।
তাৎক্ষনিক আব্দুল মজিদ ঘটনার ছবি তুলে হাসপাতালের প্রধান নিতীশ গোলদারকে পাঠান।এ খবর জানাজানি হলে ডা: মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, তার স্ত্রী ও সঙ্গীয়রা সাংবাদিক মজিদের উপর ক্ষিপ্ত হন।পরদিন ডাক্তার দম্পতি মজিদকে পেয়ে মারপিট করে ও ভয়-ভীতি দেখান। আব্দুল মজিদ বিষয়টি বাদি সহ অপর অনন্য সহকর্মীদের অবগত করেন।
সর্বশেষ ২১জানুয়ারি বাদী সাংবাদিক সেকেন্দার আলী সহ অপর সাংবাদিকরা ডা: মামুনের কাছে ঘটনার বিষয় জানতে ঘটনাস্হলে গেলে মামলার আসামীরা সাংবাদিকদের মারপির, হত্যা চেষ্টা, ভিডিও ক্যামেরা ভাঙচুর, ছিনতাই, মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটান। পরে আহত সাংবাদিক মজিদ পাইকগাছা উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। অতঃপর এ বিষয়ে পাইকগাছা থানায় এজাহার দাখিল করেন। থানা পুলিশ এজাহার নিতে অস্বীকার করায় ২৪ জানুয়ারি বাদি আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই খুলনা কে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় পাইকগাছায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করেন ঘটনাটি মুক্ত সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে খড়গহস্ত। তাই সরকারের কাছে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নিতিশ চন্দ্র গোলদার বলেন মামুনের মাথার একটু সমস্যা আছে।হঠাৎ করে রেগে যায় বিষয়টি বিষয়টি আমি জানি দ্রুত সমস্যা সমাধান করব।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।