বদলগাছীতে আগাম ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত চাষিরা

- আপডেট সময় : ০৭:০৬:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁ জেলার অন্যতম শষ্য উৎপাদনকারী উপজেলা হিসেবে পরিচিত।বদলগাছী উপজেলায় আগাম ইরি-বোরো চাষে নেমেছেন চাষিরা।চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতেই শীত উপেক্ষা করে বীজতলা থেকে বীজ আহরণ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের চারা লাগাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
বর্তমান আবহাওয়ার মতো চাষের সময়েও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছরও বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে মোট ১১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ হেক্টর জমিতে।চাষকৃত জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ৬৯০ মেট্টিক টন চাল।ইতোমধ্যেই ৮ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আগাম চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা।
আধাইপুর আঃ আলিম বিলাশ বাড়ী গ্রামের আশাফুল ইসলাম কৃষক আবুল সরদার বলেন, সরকারি প্রণোদনার অংশ হিসেবে হাইব্রিড ধানের বীজ পেয়ে আগাম চাষ শুরু করেছি।
এ উপজেলায় বোরো ধানের বীজতলা ৭৭০ হেক্টর, উফশী ধানের বীজতলা ৬২০ হেক্টর ও হাইব্রিড বোরো ধানের বীজতলা ১৫০ হেক্টর।বোরো ও উফশী বোরো ধানের লক্ষমাত্রা ১১ হাজার ৪৫০ হেক্টর ও হাইব্রিড বোরো ধানের লক্ষমাত্রা ২৯০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধান আবাদ করা হবে।
এর মধ্যে সরকারি প্রণোদনার অংশ হিসেবে বোরো মৌসুম শুরুর আগেই চলতি রবি মৌসুমে ১ হাজার ৬৫০ জন চাষিকে সরিষা, ভুট্টা, মুগ, মশুর, খেসারিসহ বিভিন্ন শষ্যের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও সরকারের পুনর্বাসন বীজ সহায়তা ও প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ৩০০ জন কৃষক পরিবারকে ২ কেজি করে হাইব্রিড ধানের বীজ ও ৫০০ জনকে উচ্চ ফলনশীল বীজ ও সার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান জানান, আবহাওয়া বৈরী না হলে এবং কীটপতঙ্গের আক্রমণ কম হলে এ বছরও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।