ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
রাবির ভর্তিযুদ্ধ : প্রতিবন্ধীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে পিডিএফ পলাশবাড়ীতে কোচ-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত,আহত অন্তত ৫ গোবিন্দগঞ্জে জমি অধিগ্রহণে বেসরকারী চক্ষু হাসপাতাল,বাণিজ্যিক করণের দাবীতে মানববন্ধন গাইবান্ধায় জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন গাইবান্ধা জেলার সফল তেল উৎপাদনকারী কৃষকদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ সাঘাটায় সাত দিনের ব্যবধানে আবারও মেয়ে হলেন আলোচিত সুমনা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে নতুনধারার অভিনন্দন কুড়িগ্রামে বাড়ছে পানি ভাঙছে নদী,শঙ্কায় মানুষ পাইকগাছায় এসিল্যান্ড হিসেবে যোগদান করলেন আফরোজ শাহীন খসরু লাখাইয়ে ৩৮ টি ল্যাপটপ বিতরণ করলেন আবু জাহির এমপি

বাংলাদেশের আইন সভা হবে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট

মো: মজিবুর রহমান-
  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী জনসমষ্টি যাদের সার্বভৌম ক্ষমতা ও সরকার আছে সেটাই রাষ্ট্র।রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকার‌ই হ‌ইলো প্রধান উপাদান।সরকার ছাড়া রাষ্ট্রের কল্পনা করা যায় না।মানুষের জন্য মাথা যেমন রাষ্ট্রের জন্য সরকার তেমন।সরকার এর উপর‌ই নির্ভর করে রাষ্ট্রের উন্নতি অবনতি।

সরকারের আবার তিনটি বিভাগ আছে-১। শাসন বিভাগ ২। আইন বিভাগ, ৩। বিচার বিভাগ। সরকারের আইন বিভাগটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ।

প্রত্যেক দেশে বা প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই আইন বিভাগ আছে।এই আইন বিভাগ আবার বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভিন্ন।কোন কোন রাষ্ট্রের আইন বিভাগ এক কক্ষ বিশিষ্ট।আবার কোন কোন রাষ্ট্রের আইন বিভাগ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।

ব্রিটেনের আইন সভা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।হাউস অব লর্ড হাউস অব কমন্স।আমেরিকার আইন সভা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।সিনেট কমন সভা।ভারতের আইন সভা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট রাজ্যসভা ও বিধান সভা।

আবার কিছু কিছু রাষ্ট্রের আইন সভা এক কক্ষ বিশিষ্ট।বাংলাদেশের আইন সভা এক কক্ষ বিশিষ্ট।একটা কক্ষ থেকে বা এক জায়াগা থেকে আইন পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের আইন সভার নাম জাতীয় পরিষদ।

উন্নত রাষ্ট্রের আইন সভাগুলো সাধারনত দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট হয়।রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতির জন্য আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদকে দ্বি-কক্ষ করার পক্ষে আমার মতামত ও সুপারিশ নিম্নরূপ :

ক) নিম্ন কক্ষের নাম হবে সাধারণ সভা;

খ) উচ্চ কক্ষের নাম এলিট সভাঃ নিম্ন কক্ষের গঠন হবে জাতীয় সংসদের গঠনের আলোকে এর সদস্য সংখ্যা হবে ৩৫০ জন। ৩০০জন নির্বাচিত হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে। ৫০জন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য নির্বাচিত হবে ৩০০ জন সাধারণ সদস্যের ভোটে। এদের মেয়াদকাল হবে ৫ বছর।

খ) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নাম হবে এলিট সভা,এলিট সভার গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী হবে নিন্মরূপ ।

গঠন : এলিট সভার সদস্য সংখ্যা হবে ৩০০ জন, মেয়াদ ৬ বছর।প্রতি ২ বছর পর পর ১০০ জন সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এলিট সভা কখনও পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে না বা ভাঙ্গিয়া যাবে না।দেশের সব পেশার লোক হইতে এলিট সভা গঠিত হবে।

মো: মজিবুর রহমান
প্রভাষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান
বালুর চর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বাংলাদেশের আইন সভা হবে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট

আপডেট সময় : ০২:৪৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী জনসমষ্টি যাদের সার্বভৌম ক্ষমতা ও সরকার আছে সেটাই রাষ্ট্র।রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকার‌ই হ‌ইলো প্রধান উপাদান।সরকার ছাড়া রাষ্ট্রের কল্পনা করা যায় না।মানুষের জন্য মাথা যেমন রাষ্ট্রের জন্য সরকার তেমন।সরকার এর উপর‌ই নির্ভর করে রাষ্ট্রের উন্নতি অবনতি।

সরকারের আবার তিনটি বিভাগ আছে-১। শাসন বিভাগ ২। আইন বিভাগ, ৩। বিচার বিভাগ। সরকারের আইন বিভাগটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ।

প্রত্যেক দেশে বা প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই আইন বিভাগ আছে।এই আইন বিভাগ আবার বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভিন্ন।কোন কোন রাষ্ট্রের আইন বিভাগ এক কক্ষ বিশিষ্ট।আবার কোন কোন রাষ্ট্রের আইন বিভাগ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।

ব্রিটেনের আইন সভা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।হাউস অব লর্ড হাউস অব কমন্স।আমেরিকার আইন সভা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।সিনেট কমন সভা।ভারতের আইন সভা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট রাজ্যসভা ও বিধান সভা।

আবার কিছু কিছু রাষ্ট্রের আইন সভা এক কক্ষ বিশিষ্ট।বাংলাদেশের আইন সভা এক কক্ষ বিশিষ্ট।একটা কক্ষ থেকে বা এক জায়াগা থেকে আইন পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের আইন সভার নাম জাতীয় পরিষদ।

উন্নত রাষ্ট্রের আইন সভাগুলো সাধারনত দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট হয়।রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতির জন্য আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদকে দ্বি-কক্ষ করার পক্ষে আমার মতামত ও সুপারিশ নিম্নরূপ :

ক) নিম্ন কক্ষের নাম হবে সাধারণ সভা;

খ) উচ্চ কক্ষের নাম এলিট সভাঃ নিম্ন কক্ষের গঠন হবে জাতীয় সংসদের গঠনের আলোকে এর সদস্য সংখ্যা হবে ৩৫০ জন। ৩০০জন নির্বাচিত হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে। ৫০জন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য নির্বাচিত হবে ৩০০ জন সাধারণ সদস্যের ভোটে। এদের মেয়াদকাল হবে ৫ বছর।

খ) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নাম হবে এলিট সভা,এলিট সভার গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী হবে নিন্মরূপ ।

গঠন : এলিট সভার সদস্য সংখ্যা হবে ৩০০ জন, মেয়াদ ৬ বছর।প্রতি ২ বছর পর পর ১০০ জন সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এলিট সভা কখনও পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে না বা ভাঙ্গিয়া যাবে না।দেশের সব পেশার লোক হইতে এলিট সভা গঠিত হবে।

মো: মজিবুর রহমান
প্রভাষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান
বালুর চর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা