বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সিরাজগঞ্জে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তাজফুল হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণের গাছ না কাটার জন্য স্মারক লিপি দিয়েছে বাপা রাজশাহীতে লফস’র তামাক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রচারণা ও বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত রাজশাহীর আদালত পাড়ায় ককটেল বিস্ফোরণ রূপগঞ্জে নৌকা প্রার্থী গাজীর মনোনয়নপত্র দাখিল নকলায় আস্থা প্রকল্পের যুব ফোরাম গঠন বিষয়ক সভা পটুয়াখালী-১ আসনে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী বাউল শিল্পী খলিলুর সারাদেশে ২৪ ঘন্টায় ৫টি যানবাহনে আগুন আত্রাইয়ে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে আনসার ও ভিডিপি সদস্য বাছাই সম্পন্ন বেনাপোলে তৃতীয় লিঙ্গের নারীকে কুপিয়ে জখম
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

বাংলাদেশের আইন সভা হবে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট

নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী জনসমষ্টি যাদের সার্বভৌম ক্ষমতা ও সরকার আছে সেটাই রাষ্ট্র।রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকার‌ই হ‌ইলো প্রধান উপাদান।সরকার ছাড়া রাষ্ট্রের কল্পনা করা যায় না।মানুষের জন্য মাথা যেমন রাষ্ট্রের জন্য সরকার তেমন।সরকার এর উপর‌ই নির্ভর করে রাষ্ট্রের উন্নতি অবনতি।

সরকারের আবার তিনটি বিভাগ আছে-১। শাসন বিভাগ ২। আইন বিভাগ, ৩। বিচার বিভাগ। সরকারের আইন বিভাগটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ।

প্রত্যেক দেশে বা প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই আইন বিভাগ আছে।এই আইন বিভাগ আবার বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভিন্ন।কোন কোন রাষ্ট্রের আইন বিভাগ এক কক্ষ বিশিষ্ট।আবার কোন কোন রাষ্ট্রের আইন বিভাগ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।

ব্রিটেনের আইন সভা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।হাউস অব লর্ড হাউস অব কমন্স।আমেরিকার আইন সভা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।সিনেট কমন সভা।ভারতের আইন সভা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট রাজ্যসভা ও বিধান সভা।

আবার কিছু কিছু রাষ্ট্রের আইন সভা এক কক্ষ বিশিষ্ট।বাংলাদেশের আইন সভা এক কক্ষ বিশিষ্ট।একটা কক্ষ থেকে বা এক জায়াগা থেকে আইন পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের আইন সভার নাম জাতীয় পরিষদ।

উন্নত রাষ্ট্রের আইন সভাগুলো সাধারনত দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট হয়।রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতির জন্য আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদকে দ্বি-কক্ষ করার পক্ষে আমার মতামত ও সুপারিশ নিম্নরূপ :

ক) নিম্ন কক্ষের নাম হবে সাধারণ সভা;

খ) উচ্চ কক্ষের নাম এলিট সভাঃ নিম্ন কক্ষের গঠন হবে জাতীয় সংসদের গঠনের আলোকে এর সদস্য সংখ্যা হবে ৩৫০ জন। ৩০০জন নির্বাচিত হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে। ৫০জন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য নির্বাচিত হবে ৩০০ জন সাধারণ সদস্যের ভোটে। এদের মেয়াদকাল হবে ৫ বছর।

খ) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নাম হবে এলিট সভা,এলিট সভার গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী হবে নিন্মরূপ ।

গঠন : এলিট সভার সদস্য সংখ্যা হবে ৩০০ জন, মেয়াদ ৬ বছর।প্রতি ২ বছর পর পর ১০০ জন সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এলিট সভা কখনও পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে না বা ভাঙ্গিয়া যাবে না।দেশের সব পেশার লোক হইতে এলিট সভা গঠিত হবে।

মো: মজিবুর রহমান
প্রভাষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান
বালুর চর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ