শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফুলবাড়ীতে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে স্মরণ সভা অনুষ্টিত সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় টাংগাইলের মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিহত রাজশাহী নগরীতে ময়লা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর রায়গঞ্জে ভূঁইয়াগাঁতী বাসস্ট্যান্ড দখল করে অবৈধ দোকানপাট ও সিএনজি স্ট্যান্ড নড়াইলে চিত্রশিল্পীদের হাতে চিত্রকর্মের সম্মাননা স্মারক প্রদান নড়াইলে পৃথক অভিযানে একাধিক মামলায় দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার শিল্পী সমিতির নির্বাচন : সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল রাজশাহী নিউ মার্কেটের দোকানে অগ্নিকাণ্ড পাইকগাছায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ ছাতকের জাউয়া বাজারসহ তার আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

বাবা আমার অহংকার

আমি (শ্যামল শীল) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি সদর ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা এলাকার নাটানা গ্রামের শ্রী নরেন শীল এবং সরস্বতী শীলের ছেলে।

আমার বাবা একজন কৃষক ছিলেন। জন্ম থেকেই দেখেছি, বাবা পূজা বা যে কোন অনুষ্ঠানে বাবা নতুন জামা নিতেন না, শুধু আমাদের জন্য কিনতেন। আমরা দুই ভাই।আমি সবার বড়। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে ইতিহাস (বি,এ) বিভাগে অধ্যায়নরত আছি।

আমার ছোট ভাই স্বপন শীল আশাশুনি সরকারী কলেজ সমাজবিজ্ঞান (বি,এস,সি)বিষয়ে প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত। ছোট ভাই পড়া লেখার পাশা পাশি মাছের কাটায় কাজ করে।ছোট ভাই খুব নম্র ও ভদ্র।

গৃহিণী মা সব সময় আমাদের খেয়াল রাখেন। অন্যদিকে অন্যের ক্ষেত খামারে কৃষি কাজ করতেন।বাবা,মা উভয় কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

বাবা একজন কৃষক, মানে কৃষক হয়েও আমাদের দুই ভাইয়ের পড়াশোনার সব দায়িত্ব পালন করছেন।কারন বাবার স্বপ্ন ছিল ২ ভাই পড়া লেখা শেষ করে এক দিন চাকরি পেয়ে পরিবারের অভাব দূর করবে।কিন্তু,বাবা এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি।২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ২২ তারিখে বাবা ব্রােইন টিউমারে আক্রান্ত হন।ধীরে ধীরে বাবা মৃত্যুর কেলে পতিত হন।

অনশেষে ২০২২ সালের ৭ জুলাই ইহলোক ছেড়ে পরলোক গমন করেন।মৃত্যু কালে বাবার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।কাষ্টের বিষয় তুমি সারা টা জীবন আমাদর জন্য বিলিয়ে দেছো, আজ তুমি আমাদের মাঝে নেই, তখন নিজের চোখে জল চলে আসে।প্রতি টা ক্ষণ নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়।বাবা হল বট বৃক্ষ। সেই বট বৃক্ষ যার জীবনে নেই, সেই ই জানে বাবার গুরুত্ব। তোমার আদর্শ জীবনে ধারন করে বড় হয়েছি।ভবিষ্যৎ এ তোমার আদর্শ নিয়ে সামনের পথ পাড়ি দিব।

অন্য দিকে ২০২২ সালে ৩০ ডিসেম্ব আনুমানিক রাত ৮ঃ২০ মিনিটে ঠাকুরমা পরলোক গমন করেন।এভাবে তাদের ছেড়ে চলে যাওয়া টা মেনে নিতে অনেক কষ্ট হয়।

বাবা তুমি না থাকলে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেতাম না। আমার জীবনে তোমার অবদান বলে শেষ হবে না।তুমি শত বছর আমার হৃদয়ে থেকো।তোমার স্বপ্ন গুলো বাস্তবে রূপ দিতে আমি কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি।সেই সাথে আমি দৈনিক সাতক্ষীরার সংবাদকর্মী, কতৃপক্ষ ও সাতক্ষীরা জনগন আমার জন্য আর্শিবাদ/দোয়া করবেন।আমি যেন পড়া লেখা শেষ করে মানুষের কল্যাণে আসতে পারি।

বাবা তুমি আমার অংশ ছিলে, থাকবে
তোমার সন্তান হয়ে জন্ম নিয়ে
গর্ব করি দিনে–রাতে।
বাবা তুমি আমার অহংকার,
ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি তোমায় চিরকাল।’

লেখকঃশিক্ষার্থী,ইতিহাস বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + fifteen =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x