ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
দুমকিতে ভুয়া ৩ ডিবি পুলিশ আটক! মালিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাজার কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়া লাখাইয়ে গাড়ী চাপায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত রাজশাহীতে বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৩ উদযাপন সিংড়ায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ শালিখায় দেড় লক্ষাধিক টাকার চায়না জাল আগুনে ভস্ম বাঘ তাড়িয়ে জেলের ক্ষতবিক্ষত মাথা উদ্ধার করলো গ্রামবাসী টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করলেন এমপি টিটু কাজিপুরে আরচেস এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস পালন নবাবগঞ্জে অটো রিক্সা শ্রমিক লীগের ইউনিয়ন কমিটি গঠন

বাবা আমার অহংকার

শ্যামল শীল,অতিথি লেখকঃ
  • আপডেট সময় : ০১:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ ৫৬৫ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমি (শ্যামল শীল) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি সদর ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা এলাকার নাটানা গ্রামের শ্রী নরেন শীল এবং সরস্বতী শীলের ছেলে।

আমার বাবা একজন কৃষক ছিলেন। জন্ম থেকেই দেখেছি, বাবা পূজা বা যে কোন অনুষ্ঠানে বাবা নতুন জামা নিতেন না, শুধু আমাদের জন্য কিনতেন। আমরা দুই ভাই।আমি সবার বড়। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে ইতিহাস (বি,এ) বিভাগে অধ্যায়নরত আছি।

আমার ছোট ভাই স্বপন শীল আশাশুনি সরকারী কলেজ সমাজবিজ্ঞান (বি,এস,সি)বিষয়ে প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত। ছোট ভাই পড়া লেখার পাশা পাশি মাছের কাটায় কাজ করে।ছোট ভাই খুব নম্র ও ভদ্র।

গৃহিণী মা সব সময় আমাদের খেয়াল রাখেন। অন্যদিকে অন্যের ক্ষেত খামারে কৃষি কাজ করতেন।বাবা,মা উভয় কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

বাবা একজন কৃষক, মানে কৃষক হয়েও আমাদের দুই ভাইয়ের পড়াশোনার সব দায়িত্ব পালন করছেন।কারন বাবার স্বপ্ন ছিল ২ ভাই পড়া লেখা শেষ করে এক দিন চাকরি পেয়ে পরিবারের অভাব দূর করবে।কিন্তু,বাবা এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি।২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ২২ তারিখে বাবা ব্রােইন টিউমারে আক্রান্ত হন।ধীরে ধীরে বাবা মৃত্যুর কেলে পতিত হন।

অনশেষে ২০২২ সালের ৭ জুলাই ইহলোক ছেড়ে পরলোক গমন করেন।মৃত্যু কালে বাবার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।কাষ্টের বিষয় তুমি সারা টা জীবন আমাদর জন্য বিলিয়ে দেছো, আজ তুমি আমাদের মাঝে নেই, তখন নিজের চোখে জল চলে আসে।প্রতি টা ক্ষণ নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়।বাবা হল বট বৃক্ষ। সেই বট বৃক্ষ যার জীবনে নেই, সেই ই জানে বাবার গুরুত্ব। তোমার আদর্শ জীবনে ধারন করে বড় হয়েছি।ভবিষ্যৎ এ তোমার আদর্শ নিয়ে সামনের পথ পাড়ি দিব।

অন্য দিকে ২০২২ সালে ৩০ ডিসেম্ব আনুমানিক রাত ৮ঃ২০ মিনিটে ঠাকুরমা পরলোক গমন করেন।এভাবে তাদের ছেড়ে চলে যাওয়া টা মেনে নিতে অনেক কষ্ট হয়।

বাবা তুমি না থাকলে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেতাম না। আমার জীবনে তোমার অবদান বলে শেষ হবে না।তুমি শত বছর আমার হৃদয়ে থেকো।তোমার স্বপ্ন গুলো বাস্তবে রূপ দিতে আমি কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি।সেই সাথে আমি দৈনিক সাতক্ষীরার সংবাদকর্মী, কতৃপক্ষ ও সাতক্ষীরা জনগন আমার জন্য আর্শিবাদ/দোয়া করবেন।আমি যেন পড়া লেখা শেষ করে মানুষের কল্যাণে আসতে পারি।

বাবা তুমি আমার অংশ ছিলে, থাকবে
তোমার সন্তান হয়ে জন্ম নিয়ে
গর্ব করি দিনে–রাতে।
বাবা তুমি আমার অহংকার,
ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি তোমায় চিরকাল।’

লেখকঃশিক্ষার্থী,ইতিহাস বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাবা আমার অহংকার

আপডেট সময় : ০১:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

আমি (শ্যামল শীল) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি সদর ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা এলাকার নাটানা গ্রামের শ্রী নরেন শীল এবং সরস্বতী শীলের ছেলে।

আমার বাবা একজন কৃষক ছিলেন। জন্ম থেকেই দেখেছি, বাবা পূজা বা যে কোন অনুষ্ঠানে বাবা নতুন জামা নিতেন না, শুধু আমাদের জন্য কিনতেন। আমরা দুই ভাই।আমি সবার বড়। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে ইতিহাস (বি,এ) বিভাগে অধ্যায়নরত আছি।

আমার ছোট ভাই স্বপন শীল আশাশুনি সরকারী কলেজ সমাজবিজ্ঞান (বি,এস,সি)বিষয়ে প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত। ছোট ভাই পড়া লেখার পাশা পাশি মাছের কাটায় কাজ করে।ছোট ভাই খুব নম্র ও ভদ্র।

গৃহিণী মা সব সময় আমাদের খেয়াল রাখেন। অন্যদিকে অন্যের ক্ষেত খামারে কৃষি কাজ করতেন।বাবা,মা উভয় কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

বাবা একজন কৃষক, মানে কৃষক হয়েও আমাদের দুই ভাইয়ের পড়াশোনার সব দায়িত্ব পালন করছেন।কারন বাবার স্বপ্ন ছিল ২ ভাই পড়া লেখা শেষ করে এক দিন চাকরি পেয়ে পরিবারের অভাব দূর করবে।কিন্তু,বাবা এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি।২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ২২ তারিখে বাবা ব্রােইন টিউমারে আক্রান্ত হন।ধীরে ধীরে বাবা মৃত্যুর কেলে পতিত হন।

অনশেষে ২০২২ সালের ৭ জুলাই ইহলোক ছেড়ে পরলোক গমন করেন।মৃত্যু কালে বাবার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।কাষ্টের বিষয় তুমি সারা টা জীবন আমাদর জন্য বিলিয়ে দেছো, আজ তুমি আমাদের মাঝে নেই, তখন নিজের চোখে জল চলে আসে।প্রতি টা ক্ষণ নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়।বাবা হল বট বৃক্ষ। সেই বট বৃক্ষ যার জীবনে নেই, সেই ই জানে বাবার গুরুত্ব। তোমার আদর্শ জীবনে ধারন করে বড় হয়েছি।ভবিষ্যৎ এ তোমার আদর্শ নিয়ে সামনের পথ পাড়ি দিব।

অন্য দিকে ২০২২ সালে ৩০ ডিসেম্ব আনুমানিক রাত ৮ঃ২০ মিনিটে ঠাকুরমা পরলোক গমন করেন।এভাবে তাদের ছেড়ে চলে যাওয়া টা মেনে নিতে অনেক কষ্ট হয়।

বাবা তুমি না থাকলে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেতাম না। আমার জীবনে তোমার অবদান বলে শেষ হবে না।তুমি শত বছর আমার হৃদয়ে থেকো।তোমার স্বপ্ন গুলো বাস্তবে রূপ দিতে আমি কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি।সেই সাথে আমি দৈনিক সাতক্ষীরার সংবাদকর্মী, কতৃপক্ষ ও সাতক্ষীরা জনগন আমার জন্য আর্শিবাদ/দোয়া করবেন।আমি যেন পড়া লেখা শেষ করে মানুষের কল্যাণে আসতে পারি।

বাবা তুমি আমার অংশ ছিলে, থাকবে
তোমার সন্তান হয়ে জন্ম নিয়ে
গর্ব করি দিনে–রাতে।
বাবা তুমি আমার অহংকার,
ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি তোমায় চিরকাল।’

লেখকঃশিক্ষার্থী,ইতিহাস বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।