চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প, র্যাব-৫, একটি অপারেশন দল ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ ৯:০০ ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের মাষ্টার পাড়াস্থ সুফিয়ান বিদ্যা নিকেতন এন্ড প্রাইভেট হোম জনৈক মাইনুল ইসলাম এর ১তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং ঘরে অভিযান পরিচালনা করে বিসিফ এর অফিস রুম হতে বিসিফ সংস্থায় মানুষের জমাকৃত কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতা সহ আসামী মোঃ ইব্রাহিম (৩৭) (ম্যানেজার ও মূলহোতা), পিতা-হাজী মোঃ জাকারিয়া, সাং-খলশি, থানা-নাচোল, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মোঃ রায়হান উদ্দিন (৩০), (শাখা ব্যবস্থাপক) পিতা-মৃত খলিলুর রহমান, সাং-জাহানাবাদ, থানা-গোদাগাড়ী, জেলা-রাজশাহী মোঃ আতিকুর রহমান (২৫) (ক্যাশিয়ার), পিতা-মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, সাং-গাছপুকুর, মোঃ ফরহাদ হোসেন (৩১) (মাঠ কর্মী), পিতা-মোঃ ইসরাইল হোসেন, সাং-মুরাদপুর, মোঃ শাহ আলম (২৪) (মাঠ কর্মী), পিতা-মোঃ আব্দুল হানিফ, সাং-মাধবপুর, মোঃ রেজাউল করিম (২৪) (মাঠ কর্মী) পিতা-মোঃ মতিউর রহমান, সাং-খেসবা সর্ব থানা নাচোল, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জদেরকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা চক্রের সাথে সংঘবদ্ধভাবে গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষের টাকা গ্রহণ করে অধিক মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে বিসিফ নামে একটি ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠা করে।
উক্ত এনজিওতে বিভিন্ন গ্রাহককে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে গরীব অসহায় লোকদের টাকা বিনিয়োগ এবং টাকা ঋণ নেয়ার জন্য উস্কানি প্রদান করে।
অসহায় লোকজন তাদের উস্কানিতে টাকা বিনিয়োগ করে এবং তাদের এনজিও হতে ফাঁকা চেক জমার মাধ্যমে ঋণ উত্তোলন করলে এনজিও কর্মীরা ব্যাংক চেক ব্ল্যাক মেইল এর মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা এবং গ্রাহকের জমাকৃত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
অসংখ্য ভূক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব চাঁপাইনবাগঞ্জের চৌকষ গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে ২৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ বর্ণিত এলাকা হতে বিসিফ এর মূলহোতা ও ম্যানেজারসহ প্রতারক চক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
উপরোক্ত ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।