"চলছে দেশে ধর্ষন নিয়ে,
হাজার বুলির বর্ষন।
হচ্ছে না ধর্ষকদের সঠিক বিচার,
তাইতো বাড়ছে আকর্ষন"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতনের পর ধর্ষন করা হয়েছে।ধর্ষনের ঘটনায় যখন সারা দেশে প্রতিবাদে সোচ্চার, ঠিক তখন গনমাধ্যম সূত্রে জানতে পারলাম, পঞ্চগড়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষনের শিকার হওয়ার পর আত্মহত্যা করেছে।এটা কোন নতুন ঘটনা নয়, সারাদিনই ঘটছে এমন নানান ঘটনা।কোনটির খবর পাচ্ছি, আবার কোনটির খবর পাচ্ছি না।কোনটির প্রতিবাদ হচ্ছে, আবার কোনটির প্রতিবাদ হচ্ছে না।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিলেট এম সি. কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষন করে একদল নর-পশু।আবার,গত ৪ অক্টোবর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আরেক গৃহবধূকে ধর্ষনের চেষ্টা এবং মধ্যযুগীয় কাদায় পৈশাচিক নির্যাতন করে নরপশুর দল।এছাড়াও নাম না জানা কিংবা পত্রিকার পাতায় নাম না আসা ঘটছে হাজারও ধর্ষনসহ পৈশাচিক নির্যাতন।
সাম্প্রতিক সময়ে নারী শিশু ধর্ষন, হত্যার মতো লোমহর্ষক ঘটনা দেশকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে।জনগন নিজেরাও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ছে।নির্মমভাবে কিছু মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, আর কিছু মানুষ তা চেয়ে চেয়ে দেখছে।
এ কেমন বর্বরতা! আমাদের এই সমাজে নির্মমতা ও পৈশাচিক এখন প্রকট হয়ে পড়েছে।মানবিক মূল্যবোধ লোপ পেয়েছে।মানুষের মধ্যে মায়মমতা উঠে গেছে।পারিবারিক সামাজিক বন্ধন শিথিল হয়ে পড়েছে।তা না হলে মা- বাবা সন্তানকে, সন্তান মা-বাবাকে, স্বামী স্ত্রীকে কীভাবে খুন করতে পারে.?
৯ মাসের নবাজাতক থেকে শুরু করে শতবর্ষী বৃদ্ধাকে ধর্ষন করতে পারে.? এ আলামত কোন রাষ্ট্র সমাজের? দুঃখের বিষয় হচ্ছে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না।
যে সমাজ বর্বর, অসভ্য নিষ্ঠুরতা দিকে ধাবিত হচ্ছে।সেই সমাজের জন্য উন্নয়ন কোন কাজে আসবে না।আর এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে তারা সুরক্ষিত থাকবেন এ গ্যারান্টি কি দেয়া যায়.?
কারন, ফ্রাল্কনটাইনকে তার সৃষ্ট দানবের হাতে প্রান দিতে হয়েছিল।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত।এরাই আগামীর কর্নধার।এসব কথা শুধু সভা কিংবা সেমিনারে শোনা যায়।কিন্তু বাস্তবতা খুব ভয়াবহ।
চলন্ত গাড়িতে ধর্ষন, প্রকাশ্যে পৈশাচিক নির্যাতন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমন ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে.?কারন, সঠিক বিচার না হওয়া, আইনের সুশাসনের ঘাটতি, ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্যাতন করা।প্রতিবাদ করতে গেলেই, ফের মার কিংবা নির্যাতন করা।নিঃসন্দেহে এমন ঘটনাগুলো আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছ।
অতএব, এমন পরিস্থিতি থেকে সমাজের পরিবর্তন করতে হলে, আইনের যথাযথ সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।