ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
২১১৫ পিস ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে মাদক ব্যবসায়ী উজ্জল আটক ডিবির হাতে ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি আটক বাঘায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমি জবরদখল চেষ্টা,প্রতিবাদে মানববন্ধন লালমনিরহাট -১ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম রাজুকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় জনগণ শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের ছোঁয়ায় দেশ বদলে গেছে : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অগণতান্ত্রিক সরকারকে হঠাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : নিতাই রায় চৌধুরী রুয়েটে ক্লাস শুরু ৩০ সেপ্টেম্বর,র‍্যাগিংয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫ বি১, বাংলাদেশ এর শুকরানা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত নিন্দুককে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে ডা: তহিদ রাসেল ফিরতে চান নতুন রুপে বর্ণিল আয়োজনে জয়নিউজ বিডি ডট কমের ৫ম বর্ষপূর্তি উদযাপন

৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক : বাংলাদেশ ন্যাপ

মারুফ সরকার,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তীতে ১১ দফা ও ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়েই রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করে মহান স্বাধীনতা। অপশাসন, শোষণ ও দুর্নীতি-দুবৃর্ত্তায়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাই ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আজও দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) “ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস” উপলক্ষে গনমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান শহীদ আসাদ ও শহীদ মতিউরের স্বপ্নের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১৯৬৯ এ শহীদ আসাদ আর শহীদ মতিউরের রক্তের পথ ধরেই স্বৈরাচারের পতন হয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনে রুপ নেয়। দেশের সকল শাসকগোষ্টি গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে সকল সময়ই বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে, এখনো করছে। শাসকগোষ্টি দেশ ও জনগনের স্বার্থ রক্ষার চাইতে নিজেদের রক্ষায় ব্যাস্ত।

নেতৃদ্বয় বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকা ও ক্ষমতায় যাবার লড়াইয়ে দেশের জনগন আজ দিশেরহারা। আর বর্তমান শাসকগোষ্টি প্রতিনিয়ত শুধু উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছে। অথচ উন্নয়নের জোয়ারে আজ নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রিনহীণ। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে তা তারা উপলব্ধি করছে না। শাসকগোষ্টি ভুলে গেছে গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন টেকসই হয় না। সরকারের কোনো ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নেই। সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা ও দুর্নীতি।

তারা আরো বলেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। তাদের ইঙ্গিতেই আজ দেশের রাজনীতি অদৃশ্য শক্তি নিয়ন্ত্রন করছে। জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে। ইতিহাস বলে রাজনীতির নিয়ন্ত্রন যখন অরাজনৈতিকদের হাতে নিয়ন্ত্রন হয় তখন দেশে বিপর্যয় আসতে বাধ্য।

নেতৃদ্বয় বলেন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় দুর্নীতি-দুবৃর্ত্তায়নসহ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের সূচনা করতে হবে। শহীদ আসাদ, শহীদ মতিউরের প্রদর্শিত পথে দেশের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ০৪:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তীতে ১১ দফা ও ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়েই রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করে মহান স্বাধীনতা। অপশাসন, শোষণ ও দুর্নীতি-দুবৃর্ত্তায়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাই ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আজও দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) “ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস” উপলক্ষে গনমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান শহীদ আসাদ ও শহীদ মতিউরের স্বপ্নের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১৯৬৯ এ শহীদ আসাদ আর শহীদ মতিউরের রক্তের পথ ধরেই স্বৈরাচারের পতন হয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনে রুপ নেয়। দেশের সকল শাসকগোষ্টি গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে সকল সময়ই বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে, এখনো করছে। শাসকগোষ্টি দেশ ও জনগনের স্বার্থ রক্ষার চাইতে নিজেদের রক্ষায় ব্যাস্ত।

নেতৃদ্বয় বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকা ও ক্ষমতায় যাবার লড়াইয়ে দেশের জনগন আজ দিশেরহারা। আর বর্তমান শাসকগোষ্টি প্রতিনিয়ত শুধু উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছে। অথচ উন্নয়নের জোয়ারে আজ নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রিনহীণ। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে তা তারা উপলব্ধি করছে না। শাসকগোষ্টি ভুলে গেছে গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন টেকসই হয় না। সরকারের কোনো ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নেই। সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা ও দুর্নীতি।

তারা আরো বলেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। তাদের ইঙ্গিতেই আজ দেশের রাজনীতি অদৃশ্য শক্তি নিয়ন্ত্রন করছে। জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে। ইতিহাস বলে রাজনীতির নিয়ন্ত্রন যখন অরাজনৈতিকদের হাতে নিয়ন্ত্রন হয় তখন দেশে বিপর্যয় আসতে বাধ্য।

নেতৃদ্বয় বলেন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় দুর্নীতি-দুবৃর্ত্তায়নসহ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের সূচনা করতে হবে। শহীদ আসাদ, শহীদ মতিউরের প্রদর্শিত পথে দেশের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।