বগুড়া সদরের উপজেলার লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নে চোর সন্দেহে কিশোরকে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত কিশোরের নাম জয় (১৭)।সে শাখারিয়া ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামের স্বাধীন মিয়ার পুত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দিবাগত-রাত ১০টায় লাহিড়ীপাড়া ইউপির কাজী নুরইল গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে নিহত জয় উল্লেখ্য গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন মাস্টারের ছেলে মন্টুর বাড়িতে প্রবেশ করে।তাৎক্ষণিক চোর চোর করে মন্টুর পরিবার চিৎকার করলে মন্টুর ভাই আশরাফুল ইসলাম ঘর থেকে লাঠি নিয়ে বের হয়।এ সময় প্রাণ বাঁচানোর ভয়ে কিশোর জয় ওই বাড়ির একটি কাঁঠাল গাছে উঠে আশ্রয় নেয়।এতেও রক্ষা পায় না জয়।মন্টু ও আশরাফুলসহ গ্রামের কতিপয় ব্যক্তিরা গাছ থেকে জয়কে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে এ্যালোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে।একপর্যায়ে জয় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে “আমি চোর নই, আমি চোর নই” বলে বাঁচার আকুতি করলেও ঘাতকেরা তাদের মারপিটের নৃশংসতা চালিয়ে যায়।এরপর সেখানেই জয়ের মৃত্যু হয়।
এদিকে জয় এর মৃত্যুর পর ঘটনার বেগতিক দেখে বাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে মন্টু ও তার সহোদর আশরাফুল ইসলাম।
জয়ের স্বজনেরা জানান, রাতে জয় মোবাইলে টাকা রিচার্জের কথা বলে কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় ফিরে আসবে, এমন কথা বলে রাত ৮টার দিকে বাইরে যায়।কিন্তু সম্ভাব্য সময়ে সে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি।
এলাকাবাসী আরও জানান, জয় চোর হোক, ডাকাত হোক বা বড় কোন অপরাধী হোক।সেজন্য আইন আদালত ও থানা-পুলিশ আছে।এভাবে একজন কিশোরকে চুরির অপরাধে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “চোর সন্দেহে জয় নামের ওই কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে”।ঘটনার পর বাড়ির লোকজন পালিয়েছে।ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।এ ব্যাপারে নিহত কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা গ্রহণ করা হবে।
জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।