যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট মোঃ গোলাম রাব্বানী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।তিনি রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিলেন।

তার জন্ম রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার স্বরুপনগর গ্রামে।আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত এক পরিবারের সন্তান।পিতাঃ মো: রুস্তম আলী, মাতা: রেনুফা বেগম (রেণু)।

পিতা-মাতার স্বপ্ন পূরণে আইনজীবী হয়ে আইন পেশায় নিয়োজিত থেকে আইনী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।দাদা মরহুম রহিম উদ্দিন মন্ডল এবং নানা মরহুম হাকিম উদ্দিন মন্ডল স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দাদা এবং নানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন।বড় চাচা মরহুম আব্দুল খালেক স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে স্থানীয় রাজনীতিতে আওয়ামীলীগ'কে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।

এডভোকেট গোলাম রাব্বানীর বয়স যখন দেড় কিংবা দুই বছর হবে পিতা রুস্তম আলী স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দলে বিএনপির কর্মী কর্তৃক বুকে মারাত্মকভাবে ছুরির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ ১৮ দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।মাতা রেনুফা বেগম জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচন সহ দলীয় অন্যান্য কার্যক্রমে স্থানীয় মহিলাদের সম্পৃক্ত করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।বাবা রুস্তম আলীকে মিথ্যে মামলায় জেলেও যেতে হয়েছে।

গোলাম রাব্বানী অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন অবস্থায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী সময়ে বেলপুকুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা হলে সেই সময় গোলাম রাব্বানী বেলপুকুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক থাকাকালীন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সুমনউজ্জামান সহ ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মী সহ প্রতিবাদ মিছিল বের করেন।সেই সময় শেখ হাসিনা মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুবরন করেন বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মীনি নেত্রী আইভি রহমান সহ আওয়ামী লীগের বেশ অনেক নেতৃবৃন্দ।

২০০৫ থেকে ২০০৬ নাগাদ গোলাম রাব্বানী পুঠিয়া উপজেলাধীন বানেশ্বর ডিগ্রী কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগকে শক্তিশালী, সুসংগঠিত ও উজ্জিবীত করার লক্ষ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিনুজ্জামান তুহিন, ফজলে রাব্বি মুরাদ এর নির্দেশনায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদীয় আসন রাজশাহী ৫ পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মোঃ আব্দুল ওয়াদুদকে মনোনয়ন দেওয়া হলে শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতীক নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করে নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যান।দশম এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সরব থেকে কাজ করে গেছেন।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মহান স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালির রাখাল রাজা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিতে গণতন্ত্রের মানষকণ্যা, মানবতার মা, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এবং নেত্রীর উন্নয়নের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন এডভোকেট মোঃ গোলাম রাব্বানী।

গোলাম রাব্বানী ১৯৯৯ সাল নাগাদ ২ নং বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নের পাঁচ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হোন।২০০২ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বেলপুকুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ২০০৫-২০০৬ সালে পুঠিয়া উপজেলাধীন বানেশ্বর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হয়েও ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত ও পুনরুজ্জীবিত করেন।

২০১৪ সালে আইনজীবী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে সেই বছরই বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ) ঢাকা বার শাখার সদস্য মনোনীত হোন।

২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাজশাহী জেলার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এডভোকেট মোঃ গোলাম রাব্বানী এবং জেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি যুগ্ম-সাধারন সম্পাদকের পদে আসিন হয়ে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সপ্তম যুব কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হলে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং ভাগ্নে, সাবেক ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট ক্রীড়াবীদ ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য উত্তরসূরী অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসাবে মনোনীত হোন এবং অদ্যবধি দায়িত্বশীলতার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন,সামাজিক এবং অন্যান্য কর্মকান্ডেও সরব গোলাম রাব্বানী।

যুব সমাজকে একত্রিত করবার লক্ষ্য নিয়ে এবং দারিদ্র্য বিমোচন ও আত্মনির্ভরশীলতার লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে স্বরুপনগর একতা যুব সংঘ ও আশীর্বাদ ফাউন্ডেশন নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে প্রতিবছর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছেন এই এডভোকেট গোলাম রাব্বানী।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসনে প্রার্থীতার কথা এডভোকেট গোলাম রাব্বানীকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন হয়ে কাজ করে যেতে চান,আইন পেশায় থেকে স্থানীয় জনগন এবং নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়াতে পারেন এটাই বড় পাওয়া। 

তিনি আরও বলেন  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।যাকেই তিনি নৌকা দিক আমি তার পক্ষেই কাজ করবো।