বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা এলাকার দুধর্ষ ডাকাত গ্রেফতার সালথায় পূজা উদযাপন কমিটির সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা সারিয়াকান্দিতে যুবদলের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও মতবিনিময় শেখ হাসিনার পেতাত্মা দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন : তাইফুল ইসলাম টিপু বিশ্বশান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) রায়গঞ্জে গর্ভবতী মায়ের নিয়ে বিশেষ স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন শিবগঞ্জে বন্ধক জমির টাকা নিয়ে প্রতারনা, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন সিরাজগঞ্জ জেলা স্কাউটস নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ডেঙ্গু আক্রান্ত কিশোরগঞ্জ লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীর জমি দখল করে অবৈধ ইটভাটা গড়ে তোলার অভিযোগ
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে মেয়েকে ভারতে রেখে পালিয়ে আসলেন বাবা-মা

পটুয়াখালীর এসিড দগ্ধ কলেজ ছাত্রী (১৭) ভারতের ভেলরের সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার অভাবে কাতরাচ্ছেন।

জানা গেছে,মেয়েটির বাবা রাজা গাজী ও মা আকলিমা বেগম চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পেরে মেয়েকে সেখানে ফেলে পালিয়ে এসেছেন।

চিকিৎসাধীন মেয়েটি সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারকে  তার চিকিৎসার ব্যবস্থার আকুতি জানিয়ে বলে স্যার আমি বাচঁতে চাই আমাকে বাচাঁন।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম বলেন,হোয়াটসঅ্যাপে ভারতের ভেলোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসিড দগ্ধ ভুক্তভোগী তাকে ফোন করে জানিয়েছেন।

তিন মাস আগে মেয়েটির মা-বাবা তাকে চিকিৎসার জন্য এ ভারতে নিয়ে যান এর তিন সপ্তাহ পর তার বাবা-মা রাজা গাজী বাংলাদেশে চলে আসেন। বাবা-মা দুজনেই চলে আসায় এখন তার চিকিৎসা চলছে না টাকার অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাচ্চে।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মেয়েটির চাচাতো ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল।

তাই নিজেদের মধ্যে বিরোধে চাচাতো ভাইরা মেয়েটির মুখে এসিড ছুড়ে মারেন পরে মেয়েটির খালা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন অবস্থায় আছেন।

জানা গেছে, এসিড দগ্ধ মেয়েটি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং পটুয়াখালীর বাসিন্দা।

গত বছরের ২ আগস্ট রাতে তার উপর এসিড নিক্ষেপ করে তার চাচাতো ভাইরা এরপর তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার করা হয় এবং পরে বরিশাল থেকেও পাঠিয়েদেন ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে সেখানে ভর্তি করা হয়। পরে তার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা ২০ লাখ টাকা লাগবে জানালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান।

কিন্তু কিছুদিন পর অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলে তিন মাস আগে তার বাবা রাজা গাজী ও মা আকলিমা বেগম তাকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ভারতের ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভারতে আসার তিন সপ্তাহ পরই তার বাবা দেশে চলে আসেন পরে তার বাবা আর টাকা না পাঠানোর কারণে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছুদিন পর তার মা তাকে হাসপাতালে রেখে বাংলাদেশে চলে আসেন।

এই ব্যাপারে ভুক্তভোগীর বাবা রাজা মিয়া জানান,আমি একজন কৃষক সামান্য জমি জমা চাষ করে সংসার চালাই।

মেয়ের চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ করতে আমি দেশে এসেছি এখনো টাকা সংগ্রহ করতে পারিনি আমি এখন আমার মেয়ের চিকিৎসা চালতে পারছি না বাবা হয়ে মেয়েকে অচেনা দেশে রেখে পালিয়ে আসতে হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com