ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
গ্রামীণ ব্যাংক বাগআঁচড়া শাখায় সদস্যদের মাঝে ঋণ ও গাছের চারা বিতরণ ঢাকা-১৮ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে চান দয়াল কুমার বড়ুয়া জয়পুরহাটে এনএ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে স্কুল শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ কয়লা সংকটে রাবির ভর্তিযুদ্ধ : প্রতিবন্ধীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে পিডিএফ পলাশবাড়ীতে কোচ-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত,আহত অন্তত ৫ গোবিন্দগঞ্জে জমি অধিগ্রহণে বেসরকারী চক্ষু হাসপাতাল,বাণিজ্যিক করণের দাবীতে মানববন্ধন গাইবান্ধায় জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন গাইবান্ধা জেলার সফল তেল উৎপাদনকারী কৃষকদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ সাঘাটায় সাত দিনের ব্যবধানে আবারও মেয়ে হলেন আলোচিত সুমনা

চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে মেয়েকে ভারতে রেখে পালিয়ে আসলেন বাবা-মা

সঞ্জিব দাস,গলাচিপা(পটুয়াখালী)
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩ ৭১৩ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালীর এসিড দগ্ধ কলেজ ছাত্রী (১৭) ভারতের ভেলরের সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার অভাবে কাতরাচ্ছেন।

জানা গেছে,মেয়েটির বাবা রাজা গাজী ও মা আকলিমা বেগম চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পেরে মেয়েকে সেখানে ফেলে পালিয়ে এসেছেন।

চিকিৎসাধীন মেয়েটি সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারকে  তার চিকিৎসার ব্যবস্থার আকুতি জানিয়ে বলে স্যার আমি বাচঁতে চাই আমাকে বাচাঁন।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম বলেন,হোয়াটসঅ্যাপে ভারতের ভেলোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসিড দগ্ধ ভুক্তভোগী তাকে ফোন করে জানিয়েছেন।

তিন মাস আগে মেয়েটির মা-বাবা তাকে চিকিৎসার জন্য এ ভারতে নিয়ে যান এর তিন সপ্তাহ পর তার বাবা-মা রাজা গাজী বাংলাদেশে চলে আসেন। বাবা-মা দুজনেই চলে আসায় এখন তার চিকিৎসা চলছে না টাকার অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাচ্চে।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মেয়েটির চাচাতো ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল।

তাই নিজেদের মধ্যে বিরোধে চাচাতো ভাইরা মেয়েটির মুখে এসিড ছুড়ে মারেন পরে মেয়েটির খালা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন অবস্থায় আছেন।

জানা গেছে, এসিড দগ্ধ মেয়েটি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং পটুয়াখালীর বাসিন্দা।

গত বছরের ২ আগস্ট রাতে তার উপর এসিড নিক্ষেপ করে তার চাচাতো ভাইরা এরপর তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার করা হয় এবং পরে বরিশাল থেকেও পাঠিয়েদেন ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে সেখানে ভর্তি করা হয়। পরে তার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা ২০ লাখ টাকা লাগবে জানালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান।

কিন্তু কিছুদিন পর অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলে তিন মাস আগে তার বাবা রাজা গাজী ও মা আকলিমা বেগম তাকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ভারতের ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভারতে আসার তিন সপ্তাহ পরই তার বাবা দেশে চলে আসেন পরে তার বাবা আর টাকা না পাঠানোর কারণে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছুদিন পর তার মা তাকে হাসপাতালে রেখে বাংলাদেশে চলে আসেন।

এই ব্যাপারে ভুক্তভোগীর বাবা রাজা মিয়া জানান,আমি একজন কৃষক সামান্য জমি জমা চাষ করে সংসার চালাই।

মেয়ের চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ করতে আমি দেশে এসেছি এখনো টাকা সংগ্রহ করতে পারিনি আমি এখন আমার মেয়ের চিকিৎসা চালতে পারছি না বাবা হয়ে মেয়েকে অচেনা দেশে রেখে পালিয়ে আসতে হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে মেয়েকে ভারতে রেখে পালিয়ে আসলেন বাবা-মা

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

পটুয়াখালীর এসিড দগ্ধ কলেজ ছাত্রী (১৭) ভারতের ভেলরের সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার অভাবে কাতরাচ্ছেন।

জানা গেছে,মেয়েটির বাবা রাজা গাজী ও মা আকলিমা বেগম চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পেরে মেয়েকে সেখানে ফেলে পালিয়ে এসেছেন।

চিকিৎসাধীন মেয়েটি সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারকে  তার চিকিৎসার ব্যবস্থার আকুতি জানিয়ে বলে স্যার আমি বাচঁতে চাই আমাকে বাচাঁন।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম বলেন,হোয়াটসঅ্যাপে ভারতের ভেলোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসিড দগ্ধ ভুক্তভোগী তাকে ফোন করে জানিয়েছেন।

তিন মাস আগে মেয়েটির মা-বাবা তাকে চিকিৎসার জন্য এ ভারতে নিয়ে যান এর তিন সপ্তাহ পর তার বাবা-মা রাজা গাজী বাংলাদেশে চলে আসেন। বাবা-মা দুজনেই চলে আসায় এখন তার চিকিৎসা চলছে না টাকার অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাচ্চে।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মেয়েটির চাচাতো ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল।

তাই নিজেদের মধ্যে বিরোধে চাচাতো ভাইরা মেয়েটির মুখে এসিড ছুড়ে মারেন পরে মেয়েটির খালা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন অবস্থায় আছেন।

জানা গেছে, এসিড দগ্ধ মেয়েটি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং পটুয়াখালীর বাসিন্দা।

গত বছরের ২ আগস্ট রাতে তার উপর এসিড নিক্ষেপ করে তার চাচাতো ভাইরা এরপর তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার করা হয় এবং পরে বরিশাল থেকেও পাঠিয়েদেন ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে সেখানে ভর্তি করা হয়। পরে তার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা ২০ লাখ টাকা লাগবে জানালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান।

কিন্তু কিছুদিন পর অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলে তিন মাস আগে তার বাবা রাজা গাজী ও মা আকলিমা বেগম তাকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ভারতের ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভারতে আসার তিন সপ্তাহ পরই তার বাবা দেশে চলে আসেন পরে তার বাবা আর টাকা না পাঠানোর কারণে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছুদিন পর তার মা তাকে হাসপাতালে রেখে বাংলাদেশে চলে আসেন।

এই ব্যাপারে ভুক্তভোগীর বাবা রাজা মিয়া জানান,আমি একজন কৃষক সামান্য জমি জমা চাষ করে সংসার চালাই।

মেয়ের চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ করতে আমি দেশে এসেছি এখনো টাকা সংগ্রহ করতে পারিনি আমি এখন আমার মেয়ের চিকিৎসা চালতে পারছি না বাবা হয়ে মেয়েকে অচেনা দেশে রেখে পালিয়ে আসতে হয়েছে।