লালমনিরহাটের পাটগ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় পাটগ্রাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.এম ওয়াজেদ আলী (৬৫) নিহতের মামলায় একজনকে আটক করেছে পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
গত শুক্রবার ২০জানুয়ারী আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে দু্র্বৃত্তের হামলার শিকার হয়ে তিনি নিহত হন।
এ ঘটনায় বিগত শনিবার (২১ জারুয়ারি) মধ্যরাতে নিহতের ছেলে রিফাত হাসান বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার সূত্র ধরে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে পাটগ্রাম উপজেলার সাহেবডাংগা এলাকা থেকে আলমগীর হোসেন আবদুল্লাকে আটক করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ।সে উপজেলার রসুলগঞ্জ নিউ পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আবদুল মতিনের ছেলে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাকে আটক করা হয়েছে।কারণ আলমগীর মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামান বাবুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
প্রসঙ্গত লালমনিরহাটের পাটগ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় পাটগ্রাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.এম ওয়াজেদ আলী (৬৫) নিহত হয়েছেন।শুক্রবার ২০ জানুয়ারী আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে দু্র্বৃত্তের হামলার শিকার হয়ে তিন নিহত হন।স্থানীয় ও পুল ওয়াজেদ আলী (৬৫) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাটগ্রাম রসূলগঞ্জ (পোস্ট অফিস পাড়া) সরকারি হুজুর উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন তার নিজ বাড়িতে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করেন এবং কিছু সময় পর আবার বাসা থেকে বেড় হওয়া সময় পুর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন।এসময় চিৎকার ও চেচামেচিতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয় লোকজন আহত ওয়াজেদ আলীকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থার কিছুক্ষন পরেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন।
উল্লেখ্য নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. এম ওয়াজেদ আলী (পাটগ্রাম- হাতিবান্ধা), লালমনিরহাট – ১ সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি আবেদ আলীর ছোট ভাই এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুলের মামা।
স্থানীয়রা জানান,তিনি খুবই বিনয়ী,সদালাপী,ও সাদা মনের মানুষ ছিলেন।তার এমোন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
অপর দিকে,অধ্যক্ষের মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে,সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আসামীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জন্য বিক্ষোভ করেছে বলে জানা গেছে।