শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

একটি স্টিল ব্রীজ বদলে দিয়েছে গ্রামবাসীর ভাগ্য

বগুড়ার মহাস্থান গ্রামের কোল ঘেঁষে ঐতিহাসিক করতোয়া নদী। যে নদীর কারণে বগুড়ার জশোপাড়া, নন্দিপাড়া, কাজী নুরুইল, সাতশিমুলিয়া, তেলিহারা, দক্ষিণভাগ, জাহানাবাদ, রহমতবালা ও লাহিড়িপাড়ার লোকজনকে বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটে যাতায়াত করতে হয় ভবানিগঞ্জ হয়ে।

উল্লেখ্যঃ যে যদি জাহাবাদ হয়ে করতোয়া নদী পার হয়ে মহাস্থান হাটে যাওয়া যায় তাহলে এসব গ্রামের মানুষদের একদিকে সময বাঁচবে, অপরদিকে পরিববহন খরচাও কম লাগতে পারে।সে জন্য জাহানাবাদ হয়ে মহাস্থান হাটে আসতে ১ টি ব্রিজ নির্মাণ করলেই ঘুচতে পারে উপরোল্লিখিত অঞ্চলের মানুষের দুঃখ দুর্দশা।বদলে দিতে পারে এলাকার কৃষকের ভাগ্য।এতে করে কৃষিতে ব্যাপক বিপ্লব ঘটবে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের মহাস্থান আকন্দপাড়া গ্রামে করতোয়া নদীর উপর প্রায় ২০০মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী।

একটি সেতু হলেই ১০ গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নতি ও সেই সাথে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করেন সচেতন মহল। নদী পার হলেই হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি চোখে পড়ে। আর এ এলাকাকে বলা হয় কৃষি প্রধান এলাকা।

এছাড়াও ঐতিহাসিক মহাস্থানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য এই ব্রিজ নির্মাণ হলে, শিক্ষার্থীরা মহাস্থান আলিম মাদ্রাসা, উচ্চ বিদ্যালয়, মাহীসওয়ার ডিগ্রি কলেজ মহাস্থান জাদুঘর, মসলা গবেষণা কেন্দ্র ও হযরত শাহ সুলতানের মাজার জিয়ারত করতে দর্শনার্থীদের দুর্ভোগ এড়াতে সহজ হবে।

এলাকাবাসী জানান, আমাদের আয়ের প্রধান উৎসই হলো কৃষিকণ্য।আমাদের সবগুলো জমি নদীর ওপারে।ফসল উৎপাদন করতে আমাদের নদীর ওপারেই যেতে হয়। বর্ষাকালেও আমাদের নদী সাঁতরে কষ্ট করে জমিতে যেতে হয়।তবে গ্রামের সকল কৃষকদের যৌথ প্রচেষ্টায় নদী পারাপারের জন্য গ্রামবাসী বাঁশ দিয়ে নড়বড়ে ১টি সাঁকো নির্মাণ করে ছিলেন।বর্তমানে সাঁকোটি পারাপারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সাম্প্রতিক নিজ গ্রামে বেড়াতে এসে এমপি জিন্নাহ তাঁর এলাকার মানুষের নদী পারাপারের এমন দুর্দশা দেখে হতাশ হয়ে যান।পরে তার নিজ অর্থায়নে লোহার পাইপের খুঁটি ও ফ্রেম করে, কাঠের পাটাতন দিয়ে সাঁকো বানিয়ে এলাকার মানুষের নির্বিঘ্নে পারাপার হতে সহায়তা করেন।বর্তমানে এ সাঁকোটি মানুষের কাছে দৃষ্টিনন্দন হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।

মহাস্থান গ্রামের বুলু মুন্সি জানান, এমপি সাহেব এ সাঁকো নির্মাণ করায় পূর্ব অঞ্চলের মানুষ ব্যবসা- বাণিজ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষিপণ্য বিক্রি সহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজেই এ সাঁকো ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন।

গৃহবধু কোহিনূর জানান, এমপি জিন্নাহ আমাদের এলাকার গর্ব, তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, ২ বারের সংসদ সদস্য তার নাম করন করে এখানে আমরা একটি উন্নতমানের সেতু চাই।

এবিষয়ে এমপির জ্যেষ্ঠপুত্র হুসাইন শরীফ সঞ্চয় (এবিএম) বলেন, এমপি এলাকার মানুষের কথা ভেবে নিজ অর্থায়নে এই স্টিলের ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় জনগণের সুবিধার্থে এক পাশে সিসি ঢালাই রাস্তাও নির্মাণ করে দিয়েছেন। সদ্য এই ব্রিজের একপাশের রাস্তাটির কোন আইডি নাম্বার নেই, আরেক পাশে কোন রাস্তা নেই, ফলে এখানে সরকারি বরাদ্দে পুণরায় ব্রিজ নির্মাণ করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে রাস্তার কাজ চলমান ও রাস্তার আইডি তৈরির কাজও চলছে। সব মিলিয়ে এখানে একটি উন্নতিকরন ব্রিজের পরিকল্পনাও এমপি সাহেবের রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com