রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সারিয়াকান্দিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপি’র সমর্থক অপহরণ,থানায় অভিযোগ নাগরপুরে ইমামদের সাথে নির্বাচন কেন্দ্রীক মতবিনিময় নৌকা প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু’র গলাচিপায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ভাস্কর শিল্পী সুমন কে উপহার দিলেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস ছাত্র জমিয়ত আলীনগর ইউনিয়ন শাখার কাউন্সিল ও সংবর্ধনা বিচারকের সহযোগিতায় জোড়া লাগল ভেঙে যাওয়া সংসার দুমকীতে ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামীকে শ্বাসরোধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে শেষ দিনে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা ঈশ্বরদীতে ‘নিউক্লিয়ার ডে’ উদযাপিত বগুড়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাংবাদিক নয়ন রায়
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

শেরে বাংলা’র ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির শ্রদ্ধা

২৬ অক্টোবর সাধারণ মানুষের নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম (এ কে) ফজলুল হকের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী।এ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় তিন নেতার মাজারে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি (জেএসপি)।

জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান জননেতা মিজানুর রহমান মিজুর নেতৃত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ণ দাস, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ঢাকা উত্তরের সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, নারীনেত্রী এলিজা রহমান, বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষণ সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, নকিব খান প্রমুক।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিজানুর রহমান মিজু বলেন, শেরে বাংলা আবুল কাশেম (এ কে) ফজলুল হক বাংলার বাঘ।বঙ্গবন্ধু, হোসেন সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানীসহ বড় বড় রাজনীতিবিদদের কাছে তার পরিচিতি ছিল হক সাহেব নামে।এই মহান নেতার জন্ম বরিশালে ১৮৭৩ সালের আজকের দিনে।ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রখর মেধাবী।ইংরেজি—গণিত—আইনসহ নানা বিষয়ে নেন শিক্ষা।কর্মক্ষেত্রে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনেও তিনি সুনাম অর্জন করেন।সাধারণ মানুষের নেতা হিসাবে, তাদের দুঃখ দুর্দশায় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।বিশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, বাঙালী মুসলিমরা শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে থাকলেও, তিনিই সরব হয়ে ওঠেন। রাখেন অগ্রণী ভূমিকা।মুসলিম লীগ গঠনেও তিনি অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।১৯১৬ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতিও হন।প্রজা সম্মেলেনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম।তার কল্যাণেই বাংলার কৃষকরা মুক্তি পায় জমিদারের রোষানল থেকে।শুধু তাই না, নিজেই নিখিল বঙ্গ কৃষক সমিতি নামে একটি দল গঠন করেছিলেন।

তিনি বলেন, অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়, কৃষকদের কথা চিন্তা করে, ঋণ সালিশি আইন সহ কয়েকটি আইন পাস করেন, কৃষকের দুঃখ মোচনে।ব্রিটিশ রাজের ফর্মুলা অনুযায়ী, দুই বাংলার বিভক্তিতে ভেঙে যায় শেরে বাংলার হৃদয়।তিনি চাননি বাংলার বিভক্তি।দেশভাগের পর কিছু সময়, রাজনীতি থেকে সরে এসে, আইন পেশায় বেশি নিয়োজিত হন।তাতেও মন থিতু হয়নি।ভাষা আন্দোলনের পরই সরব রাজনীতির মাঠে।১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ের মধ্যে দিয়ে হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।১৯৬২ সালে ১৭ই এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলার বাঘ, দুঃখী মানুষের নেতা, কৃষকের নেতা, এ কে ফজলুল হক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ