রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সারিয়াকান্দিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে ইউএনও তৌহিদুর রহমান ফরিদপুর-১: আপিলে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা, ভোটের মাঠে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন লাখাইয়ে দেড় লক্ষাধিক লোকের জন্য ডাক্তার ২ জন,চরম ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা রোগীরা নাটোরের সিংড়ায় দুই সন্তানের জননীর গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা জনগনকে রাস্তা কিনে গোদাগাড়ী চর আষাড়িয়াদহ যেতে হয় রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বেগম রোকেয়া দিবস পালন তাহেরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলো খন্দকারের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সারিয়াকান্দিতে সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করলেন ঘর তোলার কথা! সারিয়াকান্দিতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত সারিয়াকান্দিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

ঝালকাঠিতে ছাত্রদল নেতার বসতঘর ভাঙচুর

ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহব্বায়ক এনামুল হক সাজুর বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

সাজুর পরিবারের অভিযোগ, ঝালকাঠি শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকার আলী হায়দার মিয়ার কাছ থেকে তিন শতাংশের একটু বেশি জমি ক্রয় করেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহব্বায়ক এনামুল হক সাজুর পরিবার।ওই জমিতে তাদের বসত ঘর রয়েছে।জমিটি কেনার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন একাধিকবার প্রস্তুাব দেন সাজুর কাছে।কিন্তু সাজুরা জমিটি বিক্রি করতে রাজি হননি।পরে বেশ কয়েকবার জমিটি দখলের চেষ্টা চালায় সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন।বিষয়টি টের পেয়ে গত ১৯ অক্টোবর ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী জজ আদালত থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এনামুল হক সাজু।আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন লোকজন নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে হামলা চালিয়ে বসতঘরে হামলা চালায়।এ সময় বসতঘরের অধিকাংশ ভেঙে ফেলা হয়।

খবর পেয়ে ঝালকাঠি থানার পুলিশ গেলে হামলাকারীরা চলে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে ২০-২৫ জনের একদল যুবক এনামুল হক সাজুদের বসতঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।একটি সীমানা প্রাচীর ছিল সেটাও ভেঙে ফেলে।জমি নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞাও মানেনি হামলাকারীরা।আধাঘণ্টার তান্ডবে পুরো এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী হাসান মাহমুদ বলেন, সৈয়দ মিলন কিছু দিন আগে আমার শ্বশুরের জমি দখল করেছে।এর আগে এক মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করেছে।এভাবে একের পর এক জমি দখল করে যাচ্ছে, তবুও তাকে কেউ কিছু বলছে না।এ ব্যাপারে ঝালকাঠির অভিভাবক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহব্বায়ক এনামুল হক সাজু অভিযোগ করেন, আমরা ডাক্তারপট্টির বসতঘরে প্রায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করছি।আলী হায়দার মিয়ার কাছ থেকে তিন শতাংশের একটু বেশি জমি কিনে ভোগদখলে আছি।সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ওই জমি আমাদের কাছ থেকে কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল।আমরা বিক্রি না করায় ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে আমাদের বসতঘর ভাঙচুর করেছে।আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছে।

ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।হামলা ভাঙচুরের পর পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের মুঠোফোন একাধিকবার ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ