যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর ৩ শতাধিক মৎস্যজীবি মানবেতর জীবনযাপন করছেন।খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা।এলাকার ফসলী জমি ৬ মাস ধরে পানিতে নিমজ্জিত থাকায় এলাকার অধিকাংশ মানুষ মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন।
কিন্তু বিনা নোটিশে হঠাৎ উপজেলা মৎস্য অফিসার মাছ ধরা জাল পুড়িয়ে দেয়ায় কয়েকশ পরিবার এখন বেকার হয়ে পড়েছেন।
প্রতি বছরের ন্যায় চলতি আমন মৌসুমেও ভারতীয় ইছামতী নদীর জোয়ারের পানিতে কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর, দাউদখালী, ভবানীপুর, কায়বা, পাড়ের কায়বা, বাইকোলা গ্রাম সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বিলাঞ্চল জলাবদ্ধ রয়েছে।নষ্ট হয়েছে কয়েকশ বিঘা জমির রোয়া ধান।ধান রোপন করা সম্ভব হয়নি ঠেঙামারী, গোমর ও আওয়ালী বিলের তলদেশ।বর্ষা মৌসুমে সেখানকার প্রায় ৫শ একর জমিতে ৫০ বছর ধরে কোন ফসলের চাষ হয়না।কেবলমাত্র ইরি চাষের ওপরে নির্ভর থাকতে হয় সেখানকার চাষীদের।ফলে ধীরে ধীরে তারা মৎস্যজীবির পথ বেছে নেয়।
কায়বা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, জলাবদ্ধতার কারনে ইউনিয়নে এবছর ৩ শ” একর জমি চাষ করা সম্ভব হয়নি। রুদ্রপুর গ্রামের শহিদ, ইসমাইল ও মুকুল হাজী জানান, মাছ ধরে সংসার চালান।কিন্তু মৎস্য অফিসার এসে এবছর তাদের প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছধরা জাল পুড়িয়ে দিয়েছেন।এখন তারা সম্পুর্ন বেকার।
কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বলেন, বিষয়টা আমি শুনেছি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সাথে কথা বলে তাদের সরকারি বিধি মোতাবেক মাছ ধরার একটা ব্যাবস্থা করা হবে।