সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ভাগ্নীকে নিয়ে উধাও হয়েছে মামা।এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল দৌড়ঝাপ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাড়াবিলের পাশে খারুয়াজোংলা গ্রামে।
ওই গ্রামের শাহজাহান মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রী হাসিনা বেগম(৪০) কে ফুসলিয়ে পাশের বাড়ির মৃত হাজী মজির ২৫ বছর বয়সী ছেলে আব্দুল আলিম ২ সপ্তাহ আগে ভাগিয়ে নিয়ে যায়।সম্পর্কে আলিম হাসিনার মামা হয়।অর্থাৎ হাসিনার আপন মামার শ্যালক।সেইসুত্রে আলিম আমার স্ত্রী হাসিনার মামা হয়।হাসিনার এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।আব্দুল আলিমেরও দুই সন্তান রয়েছে।শাহজাহান মন্ডল অত্যান্ত দরিদ্র হওয়ায় কোন কুল কিনারা পাচ্ছে না।
শাহজাহান মন্ডল বলেন, এক বছর আগেও স্ত্রী হাসিনাকে ফুসলিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করতে এসে ধরাপড়ে আব্দুল হালিম।সেসময়ও গ্রামের প্রধানবর্গের কাছে বিচার দিয়ে কোন বিচার পাইনি।উল্টো আমাকেই নানান কথা শুনতে হয়েছে।মানসম্মানের ভয়ে বিষয়টি নিরবে সহ্য করেছি।এক বছর পর ওই আব্দুল আলিম আমার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে তাকে নিয়ে উধাও হয়েছে।আমি কোথায় বিচার পাবো, কোন কুলকিনারা পাচ্ছি না।
অপরদিকে আরো কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আব্দুল আলিম অর্থবৃত্তশালী এবং প্রভাবশালী।তার কাছে দরিদ্র নিরীহ শাহজাহান অত্যান্ত দুর্বল একজন মানুষ।দিনমজুরি করে সংসার চলে দরিদ্র শাহজাহানের।
কেউ কেউ এমনও বলেছে ১/২ মাস পরে আব্দুল আলিম ফিরে এসে হাসিনাকে আবার শাহজাহানের বাড়িতে তুলে দিয়ে যেতে পারে।
তবে, শাহজাহান তার স্ত্রীকে পুনরায় ফিরে নিতে রাজি নয়।দরিদ্র একজন নিরীহ মানুষের সংসার ভেঙে অন্যের বউকে ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এমন কর্মকাণ্ডের বিচার চান দরিদ্র শাহজাহান।
এবিষয়ে আব্দুল আলিমের বাড়িতে যাওয়া হলে তার আগের স্ত্রী কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে, নিজ সন্তানদের ফেলে রেখে মামা ভাগ্নীর অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এমন ঘটনাকারীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চেয়েছে এলাকাবাসী।