খুলনার পাইকগাছায় শান্তিপূর্ণভাবে ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারী ও কড়াকড়ির মধ্যে দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন পর্ব শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার ছিল বিজয়া দশমী।সকাল ১০ টার মধ্যে এলাকার বিভিন্ন পুজামন্ডপে দশমী বিহিত পুজা অনুষ্ঠিত হয়।এরপর বিকাল ৩টা থেকে কপিলমুনি কেন্দ্রিক পুজামন্ডপ গুলো থেকে দেবী দূর্গাসহ অন্যান্য দেবদেবীকে বের করে নৌকা ও কালীবাড়ী সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের তীরে বিসর্জন ঘাটে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়।শুরু হয় দূর্গা মাসহ অন্য দেবদেবীকে সিদুর পরানো ও আগত নরনারীদের মাঝে সিদূর খেলা।সাথে সাথে গানের বাজনা ও আলোর ঝলকানিতে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।ঘনিয়ে আশা সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় বিসর্জন পর্ব।
এসময় দেবীদূর্গা ও অন্যান্য দেবদেবীকে মা তুমি আবার এসো বলে অশ্রু নয়ন ভেজা চোখে কপোতাক্ষ নদের জলে বিসর্জন দেওয়া হয়।সেখানে দূর্গামায়ের ভক্তবৃন্দরা তাদের দূর্গাদেবীকে বিসর্জনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানান।
এভাবেই দেবী মর্ত্য লোক থেকে আবার স্বর্গলোকে মহাময়ী মা দূর্গা তার স্বামীগৃহ কৈলাসে ফিরে গেলেন।সঙ্গে নিয়ে গেলেন ভক্তের আরাধনা, আর দিয়ে গেলেন আর্শীবাদ।দূর্গা এবার এসেছিলেন ঘোড়াই চড়ে।গেলেনও ঘোড়াই চড়ে। যাওয়ার সময় চোখের জলে ভাসলেন ভক্তরা।মায়ের প্রতিমা তারা বিসর্জন দেবেন ঠিকই।কিন্তু থেকে যাবে তার রেশ।আগামী এক বছরের জন্য তারা মায়ের বাণী অনুসরণ করে চলবেন।
শুক্রবার মহাষষ্ঠী পুজার আরধনা দিয়ে শুরু হওয়া দূর্গাপুজা মঙ্গলবার বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে।কপিলমুনিসহ পাইকগাছা উপজেলায় ১৫৫টি পূজা মন্দির জুড়ে এবারের সনাতন সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা।
পাইকগাছার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পূজা মন্দির পরিদর্শন ও মতবিনিময় করেন।পাইকগাছা-কয়রা আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবু, খুলনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান (পিপিএম), এএসপি পাইকগাছা ডি সার্কেল সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আল-আমীন, থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম,কেন্দ্রীয় পূজা উৎযাপন পরিষদের উপদেষ্টা বিজয় কুমার ঘোষ, খুলনা জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ পদ দাশ, খুলনা জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহা,এ্যাডভকেট তমাল কান্তি ঘোষ, পাইকগাছা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি সমিরন সাধু, পাইকগাছা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, সাধন কুমার ভদ্র, অনিমেষ সরকার রিন্টু,মিলন মন্দির কমিটির সভাপতি দ্বিজেন সাধুর, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দার, কপিলমুনি মিলন মন্দিরের পূর্ণ নির্মাণের পরিকল্পনাকারী তরুণ সমাজ সেবক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিল্পব সাধু।
পাইকগাছা পুজা উদযাপন পরিষদসহ সকলের সহযোগীতায় কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে।বলা যায় সূচনা পর্ব থেকে কপিলমুনিসহ উপজেলার সকল পুজামন্ডপ গুলোতে প্রশাসনের নজরদারী ছিল কঠোর।
কপিলমুনি কালীঘাটে বিসর্জন পর্বে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক শেখ শহীদুল্ল্যাহ, সদস্য আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামান মোড়ল, ২নং কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জি এম হেদায়েত আলী টুকু, কপিলমুনি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খোকন, প্রভাষক রেজাউল করিম খোকন, ত্রিদিব কান্তি মন্ডল, কপিলমুনি ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সভাপতি সাধন কুমার ভদ্র, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজু, কপিলমুনি ইউনিয়ন আ’লীগের কোষাধক্ষ্য বিধান চন্দ্র ভদ্র, রামপ্রসাদ পাল, অলোক মজুমদার ও নিমাই দাশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অগণিত ভক্তবৃন্দ।