সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এক গরু ব্যাবসায়ীর ১৪ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য ও থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ২১ অক্টোবর সকাল পোনে ১২ টায় সরিষাকোল বাসস্যান্ড হইতে নগরবাড়ি থেকে বগুড়াগামী হযরত পরিবহন নামে এক গাড়ীতে ওঠে যাত্রী কায়েমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা গরু ব্যাবসায়ী মন্তাজ আলী।তিনি আগেই গাড়ীর সুপারভাইজারকে বলে রেখেছিলেন তার দুইটা সীট লাগবে।যেহেতু গরু কেনার জন্য অনেক টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেহেতু একাই দুই সীট বুকিং দেন তিনি।তিনি চান্দাইকোনা হাটে গরু কিনতে যাওয়ার উদ্যেশ্যে ১৪ লক্ষ টাকা তফিলে নিয়ে গাড়ীতে ওঠেন।গাড়ী বোয়ালিয়া বাসস্যান্ডে পৌছালে সেখান থেকে সুপারভাইজার তার পরিচিত লোক পরিচয় দিয়ে আরেকজনকে মন্তাজ আলীর পাশে বসায়।এর পরেই মন্তাজ আলীর আর কোন জ্ঞান ছিলো না, তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
গাড়ীর সুপারভাইজার গরু ব্যাবসায়ী মন্তাজকে চান্দাইকোনায় না নামিয়ে বগুড়ার শেরপুর বাসস্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।তখন মন্তাজ আলীর জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখতে পারেন তার কাছে তফিলে থাকা ১৪ লক্ষ টাকা নাই।তফিল কেটে টাকা ছিনতাই করা হয়েছে।ওখানকার লোকজন মন্তাজ আলীকে আরেকটি গাড়ীতে তুলে দিলে তিনি সরিসাকোল বাসস্যান্ডে নেমে বাড়ি ফেরেন।
তিনি বলেন, দুই সীটের ভাড়া দেওয়ার পরেও সুপারভাইজার তার নিজস্ব লোক পরিচিত লোক পরিচয় দিয়ে পাশে বসিয়েছে এবং তখনি অচেতনের ঘটনা ঘটেছে সেহেতু সুপারভাইজার এবং ড্রাইভার এ টাকা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত আছে।পরে আমি শাহজাদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।২৩ অক্টোবর সরিসাকোল বাসস্যান্ডে আমি এবং আমার কিছু লোকজন ওই গাড়ীটি ঠেকিয়ে ড্রাইভার এবং সুপারভাইজারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলাবস্থায় হাজী নজরুল ইসলাম আমাদের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়ায়, হুমকি ধামকি দিয়ে ওখান থেকে হযরত পরিবহন নামে ওই গাড়ী ও ড্রাইভার সুপারভাইজারকে সড়িয়ে দেয়।এসময় নজরুল ইসলাম আমাদের সাথে চরম দুরব্যাবহার করে।আমি আমার টাকা ফেরত চাই, ড্রাইভার সুপারভাইজারের এবং নজরুলের বিচার দাবি করছি।
বিষয়টি মন্তাজ আলী শাহজাদপুর মটর মালিক সমিতি ও নগরবাড়ি মটর মালিক সমিতিকে অবগত করেছেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে, নজরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্যই গাড়ী ওখান থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে।কারো সাথে কোনরকম খারাপ আচরন করিনি।
এ বিষয়ে, মটর মালিক সমিতির সহ সভাপতি ইলিমগীর মাসুদ জেম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি।আমি নজরুলকে ফোন দিয়েছিলাম।নজরুল ফোনে আমার সথেও খারাপ ব্যাবহার করেছে।সম্মানিত সভাপতিকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।সভাপতি বিষয়টি আইনগতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে।