খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির জায়গা দখলের প্রচেষ্টা করায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সমিতির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার ফারুখ আহম্মেদ লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
সোমবার সকালে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরের শ্রেণী কক্ষে মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখি সমিতির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কপিলমুনির রুপকার বিনোদ বিহারী সাধু যমুনা সাধুর নামে ১৯৩৩ সালে নাছিরপুর মৌজায় ১.০৩ একর জমি খরিদ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।এরপর তিনি দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় এ সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকা ভুক্ত হয়।কিন্তু এই সম্পত্তি কাজী মাহমুদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি তথাকথিত ওয়ারেশদের কাছ থেকে লিখে নিয়ে আদালতে দেওয়ানি মামলা করলে সরকারের পক্ষে রায় ডিগ্রী হয়।যার বিরুদ্ধে আপিল হলে একইরুপ রায় হয়।এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা হলে শুনানি অন্তে নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত ও সকল কাগজপত্র তলবসহ স্থিতাবস্থার আদেশ দেয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
এদিকে এ আদেশ অমান্য করে উক্ত সম্পত্তিতে টিনের ঘেরা বেড়া দেয়ায় প্রশানের দৃষ্টিগোচরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির আলী সরদার, বিএম আনিসুর রহমান, আহসান আলী গাজী, শেখ দিদার হোসেন, শেখ আব্দুল ওদুদ, মোঃ জাহান আলী সরদার, শিবপদ নন্দী, বাসুদেব নন্দী, আবেদ আলী সরদার, আব্দুস সামাদ খান দেবপ্রসাদ আশ্চর্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম শেখ আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ।
এ বিষয়ে কপিলমুনি মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ জালাল হোসেন সহ অন্যান্য বলেন, কপিলমুনি আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সদস্য বৃন্দ লিখিত সংবাদ সম্মেলনে মে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়, সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আমরা উক্ত সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।