সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব “শারদীয় দুর্গাপূজা” প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সারা দেশে যথাযথ উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।ধর্মীয় বিশ্বাস যেমন মানুষের মনকে কলুষতা মুক্ত করে তেমনি সমাজকে গড়ে তোলে মানবতাবাদীর দর্পন হিসাবে। সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের প্রতিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসব ও বটে।দুর্গোৎসব উপলক্ষে বিশেষত আমাদের বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের সকলে জাত ও ধর্মের উর্ধ্বে মিলিত হয় এক কাতারে মানবতার জয়োৎসবে এজন্যই এ উৎসব সর্বজনীন।
‘দুর্গা পৌরাণিক দেবতা।তিনি আদ্যাশক্তি, মহামায়া, শিবানী, ভবানী, দশভুজা, সিংহবাহনা ইত্যাদি নামে অভিহিত হন।জীবের দুর্গতি নাশ করেন বলে তাঁকে দুর্গা বলা হয়।অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সবাই একসাথে উৎসব পালন করব।আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
ধর্ম মানবতার ধর্ম সাম্যের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ গড়তে মানবতার জয় হোক।