শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

চৌধুরী হারুনর রশিদের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী হারুনর রশিদের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ টিইউসির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক স্বরনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

টিইউসির সহ-সভাপতি মাহবুব আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত উক্ত স্বরনসভায় উপস্থিত ছিলেন টিইউসির সাধারন সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, টিইউসির দপ্তর সম্পাদক নারী শ্রমিক নেতা সাহিদা পারভীন শিখা, টিইউসির প্রচার সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোবারক হোসেন, ব্যাংক কর্মচারী নেতা সিরাজুল ইসলাম, ট্যানারি শ্রমিক নেতা আক্তার হোসেন, নারী শ্রমিক নেতা সায়েরা খাতন, নির্মান শ্রমিক নেতা আজিজুর রাহমান আজিজ প্রমুখ।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, চৌধুরী হারুনর রশিদ ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি’র) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।রাজনৈতিক ও শ্রমিক আন্দোলনের বিশাল ক্যানভাসে ছড়ানো ছিল তার কর্মকান্ড।৫২’র ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে প্রথম গ্রেফতার বরণ করেন।একনাগারে ৪ বছর জেল খেটে ৫৬ সালে মুক্তিপান।মুক্তির ২ বছর পর সামরিক শাসন জারী হলে তার উপর আবার গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়।রাজনীতি ও শ্রমিক সংগঠনের কাজে গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দীর্ঘ ১৩ বছর আত্মগোপনে থেকে সংগঠন ও আন্দোলন গড়ে তোলেন।৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ন্যাপ, সিপিবি, ছাত্র ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানের শাসনামলে স্বাধীন বাংলাদেশেও তাকে আবারও গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে যেতে হয়।তিনি একাধারে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ন্যাপের সহ-সভাপতি, টিউইসি ও রেল শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।তিনি দীর্ঘ পাঁচ দশক রাজনীতি ও শ্রমিক আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।হারুনুর রশীদ ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশের শ্রমিক কর্মচারীরা পরিবার পরিজনসহ বাঁচার মতো মজুরি পায় না।তারা অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার থেকে বঞ্চিত।চাকুরী, চাকুরীর নিশ্চয়তা, কর্মস্থলের নিরাপত্তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। চাল, আটা, তেল, ডাল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক ও শ্রমিক আন্দোলনের বর্তমান যে সংকট তা উত্তরণে চৌধুরী হারুনর রশিদের মতো সত্যনিষ্ঠা ও ত্যাগী শ্রমিক নেতার খুবই প্রয়োজন ছিল।তার নিঃস্বার্থ লড়াই ও আত্নত্যাগ শ্রমিক শ্রেণী ও শ্রমিক আন্দোলনের আদর্শ ও প্রেরনা হয়ে থাকবে।

নেতৃবৃন্দ চৌধুরী হারুনর রশিদের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com