হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গোৎসবের প্রধান আর্কষণ প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে।মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গত ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের শুরু।হয়েছে।তবে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২০ অক্টোবর ষষ্ঠি পূজার মধ্য দিয়ে।২৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবছরের জন্য শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় এবার সাতটি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় মোট ৪৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ মুহুর্তে।তবে উপজেলায় গত বছরের চেয়ে এবছর ১টি পুজা বেশি হচ্ছে বলে জানায় উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক অপুরবো কুমার সাহা।
উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে ঘুরে দেখা যায়, কাঁদামাটি, খড়, বাঁশ এবং সুতলি দিয়ে কাজ শেষে বিভিন্ন আকার, আর নানা সব কারুকাজে দেবী দুর্গাকে সাজানো হচ্ছে।সকাল থেকে গভীর রাত র্পযন্ত রঙ তুলি দিয়ে প্রতিমার র্পূণ রুপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
প্রতিমা তৈরির কারিগর অসিত সরকার বলেন, প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম যেমন খড়, সুতলী, পেরেক, বাঁশ ও কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের খরচ বেড়েছে।প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ৬-৭হাজার টাকা।২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকায় প্রতিমা তৈরি করছেন।তিনি আরো বলেন, গত বছর সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার টাকায় প্রতিমা তৈরি করেছিলেন।
অপরদিকে, দেবী দুর্গাকে ঢাঁক, ঢোল, উলু আর শঙ্খ ধ্বনিতে বরণ করতে অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছেন ভক্তকুল।অনেকেই এই উৎসবকে ঘিরে শুরু করেছেন কেনাকাটা।এ বছর দশভুজার আগমন ও প্রস্থান ঘটবে ঘোড়ায় চড়ে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সবুজ রানা জানান, আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিটিং করা হয়েছে।পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তার মধ্যে সাদা পোষাক ও বাহিনীর পোষাকে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপনের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও নিবির পর্যবেক্ষণ এবং মোবাইল টিমের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।