কুড়িগ্রামের কচাকাটার দুধকুমর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রুহল আমিনের বাড়ি থেকে চোরাই সেচ পাম্প উদ্ধার করেছে জনতা।
এ সময় আরোও কিছু চোরাই বৈদ্যুতিক সরাঞ্জামাদিসহ দুই চোরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
জানা যায়, বেশকিছুদিন থেকে কচাকাটা থানা এলাকার ক্ষেতের সেচ দেয়ার পাম্প, মর্টার, বিদ্যুতের মিটার,তার, ট্রান্সমিটার চুরি হচ্ছিল।
শুক্রবার ভোরে চুরি যাওয়া তিনটি বৈদ্যুতিক মিটারসহ বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে দুই চোরকে আটক করে কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার গ্রামের বাসিন্দারা।
আটক দুই চোর পার্শবর্তি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের শতিপুরি গ্রামের বয়েজ উদ্দিনের ছেলে মমিনুল ইসলাম (২৩) অপরজন একই এলাকার তাজেল ইসলাম (২০)।
আটক দুই জনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক এলাকাবাসি একই এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে ও দুধকুমর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিনের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া একটি সেচ পাম্প উদ্ধার করে।
সেচ পাম্পটির মূল্য ১৪ হাজার টাকা।পরে গ্রামবাসী বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার উদ্যোগ নেয়।
শুক্রবার সারা দিন সুরাহা না হওয়ায় বিকালে আটক দুইজনকে চোরাই মালামালসহ কচাকাটা থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
স্থানীয় রবিউল ইসলাম জানান, বাহের কেদার গ্রামের আব্দুল হকের একটি সেচ পাম্প, সহিদুল ইসলামের একটি মিটার, বলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানের একটি মিটার এবং আমার ৭০০ ফুট তার চুরি হয়ে যায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে দুই চোরকে হাতেনাতে আটক করি। পরে তাদের দেয়া তথ্যে সেচপাম্পটি রুহুল আমিনের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়।
আটক দুইজন জানান, বেশ কিছুদিন থেকে তার এসব বৈদ্যতিক জিনিসপত্র চুরি করছিলো।
চোরাই মালামাল বিভিন্ন পন্থায় বিক্রি করতো তারা। চুরি করা সেচপাম্পটি চুরির রাতেই রুহুল আমিনের কাছে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় তারা।
তবে রুহল আমিন তাদেরকে ২৫০০ টাকা দেয় এবং চুরি সংক্রান্ত সব ঝামেলা দেখবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন।
এ বিষয়ে জানতে রুহুল আমিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কেদার ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল ইসলাম শফি জানান, শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেও সুরাহা হয়নি। বিকালে চোরাই মালামালসহ আটক দুইজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা জানান, আটক দুইজন থানা হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদের সাথে আরোও কারা জড়িত রয়েছে তাদের সন্ধান করা হচ্ছে।