রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বলিহার গ্রামে মিলন নামে স্থানীয় এক সন্ত্রাসীর অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ওই এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকার সর্বস্থরের জনগন ওই মানববন্ধনে অংশ নেন।এসময় তারা সন্ত্রাসী মিলনের বিচারের দাবীতে বিভিন্ন প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।
এলাকাবাসী জানায়, সন্ত্রাসী মিলন এলাকায় আম, কলা, খরিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি করে বিক্রি করে দেয়। এলাকার সব রকম অপকর্ম সে করে বেড়ায়। কেউ দেখলে বা বাধা দিলে তাকে মারধর করে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বিধবা মহিলা নিয়তি রাণী তার অপকর্ম দেখে ফেললে মিলন তাকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে সে মহিলার গলায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র ধরে প্রাননাশের হুমকি দেয়।এসময় মহিলা চিৎকার করলে মিলন তাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সে বিধবা মহিলাকে মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নিয়তি রাণীকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।
ভুক্তভোগির পরিবারের অভিযোগ থানায় বিচার চাইতে গেলে মিলনের স্বজনরা নিয়তি রাণীর বাড়িতে হুমকি দিতে শুরু করে।
ভুক্তভোগি নিয়তি রানি বলেন, আমি সবজী ক্ষেতে কাজ করার সময় মিলন জোর করে ক্ষেতের সবজী (খেসারি) তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিতে গেলে সে আমাকে মারধর করে আমার গলায় দেশীয় অস্ত্র (হাসুয়া) ঠেকিয়ে হত্যা করার ভয় দেখায়। আমি চিৎকার করলে সে আমাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে আসামী মিলন বলেন,আমি তাকে মারিনি। শুধু হাসুয়াটা কেড়ে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।আাসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।