তোমার শুক-নদী- ০১
– মো. নবুয়ত হোসেন (শান্ত)
বসেছি একলা আমি,আজ-ও সেই বাঁশবনে;
যেথায় দেখছি মাঠ-আবৃত আমাদের সুক-নদী__
এ কি সত্যি-ই সুক-নদী? নাহ! আমি দেখছি
মাঠ-ভর্তি জল; যখন বর্ষা নামে নীলাভ আকাশ বেয়ে__
যেথায় পানির কলরবে মিশে-রত, হই-হুল্লরে
পাড়াগাঁয়ে ছেলেদের :ধরত মাছ__তবে নিঃশেষ
সে পরিবেশ; যেখানে বালিকারা বসে করতো নানান মনোনিবেশ :
হয়তো মানুষ নেই; তবে প্রকৃতি রয়েছে নিজ মতে।
এখনো নীলাভ আকাশে সন্ধের-বিকেলে
দেখি লাল-আবৃত বালিকা’টিকে, চলে যায়__
ধীরে-ধীরে বিদঘুটে অন্ধকার বাঁশবনে ;সেথায়
হয়ত একদল ভোমরী-বালিকা বসত নগ্ন পায়ে;
এইত তার পায়ের গন্ধ! রয়েছে, এই বালুকণায়__
এই সুক-নদীতে : হয়ত বিষণ্ণ-মনে তার অর্ধ-ঈশ্বরকে সাধতো__
আর শঙ্খের মতো তার স্তন সংকুচিত হতো;
আর ম্লান-চোখে ভাসত সুক-নদীর রিক্ততায়!