রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক ছাত্রনেতা, ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশান অফিসার মিনারুল ইসলাম মিনারের অকাল মৃত্যুতে স্বরণসভার আয়োজন করে রাবির ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ১৩১ নং রুমে বিকাল ৩টায় আয়োজিত হয় এ স্মরণসভা।
জেলা সমিতির সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র জনাব সাইদুল করিম মিন্টু।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. প্রভাস কুমার কর্মকার মিনারুলের স্বরণে বলেন, মিনারুলকে বিচার করার ক্ষমতা আমাদের নেই।দল-মত নির্বিশেষে যে মানুষটাকে সবাই অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী, একজন অমায়িক মানুষ বলেছেন সে নিশ্চয় খারাপ হতে পারে না।ঝিনাইদহ জেলা সমিতি গঠন ও প্রতিষ্ঠার জন্য সে আমাদের সাথে নিয়ে যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।ঝিনাইদহের শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে গেছে।সে স্বপ্ন দেখতো এই জেলা সমিতি সবার দুঃখ-কষ্ট লাঘব করবে।এখন সবাইকে তাঁর জায়গাটা গ্রহণ করে তাঁর স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, মিনারুলের যেমন আবেগ ছিল তেমনি সাহসও ছিল।মিনারুলকে কীভাবে স্মরণ করা যায় তোমাদের সবাইকে সেসব কাজ করতে হবে।মিনারুল কিভাবে ঝিনাইদহের সকল মানুষকে একত্রিত করেছিল সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার মাঝে প্রচার করতে হবে।যতদিন এ বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে ততদিন যাতে মিনারুলকে স্মরণ করা হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।ঝিনাইদহ জেলা সমিতির জন্য সে নিবেদিত প্রাণ ছিল।শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয় বরং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্যও সে সদা তৎপর থাকতো।দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সাহায্য করতো।তাঁর পরিবারের জন্য সবাই দোয়া রাখবেন এবং তাদের খোঁজ খবর রাখবেন।আল্লাহ তাঁর সকল ভালো কাজের বিনিময়ে মাফ করে জান্নাতবাসী করুন।
অনুষ্ঠান ও জেলা সমিতির সভাপতি সোহেল রানা বলেন, মিনারুল ভাই শুধু একটি নাম নয়।তিনি আবেগ, অনুভূতি আর ভালোবাসার অপর নাম।নিরহংকারী একজন সদালাপী মানুষ। তাঁর ব্যক্তিত্বের তুলনা সে নিজেই।তাঁর উদ্দ্যােগে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি গঠিত হয়।সে ছিল অগ্রগামী সৈনিক ও প্রতিষ্ঠাতা।তাঁর প্রচেষ্টায় শত-শত শিক্ষার্থীর সমস্যা দূর হয়েছে।তাঁর জায়গা আমাদের নেওয়া সম্ভব নয়।তবে আমরা তাঁর স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।আল্লাহ ভাইকে ভালো রাখুন।
জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সাদিক, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুজ্জামান জোয়ার্দার, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সোলাইমান চৌধুরী, ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম শহীদ।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসের ১৭ তারিখ নিজ বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে শরীরের ৯৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিনারুল।