গত দু’দিনে পটুয়াখালীর দুমকিতে গত বছরের ২৩ জুনের মত আবারও কুকুরের কামড়ে বৃদ্ধসহ ৩০ জনের অধিক আহত হয়েছেন।
দেখা যায়,আহতদের বেশির ভাগই মহিলা ও অধিক বয়সের লোকজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নথি অনুযায়ী এখানে ১৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।আর বাকিরা বিভিন্ন ফর্মেসী ও জেলা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন – মোসাঃ জেসমিন (৩৫), আবু মুসা (২৮), মোসাঃ হামিদা (২২), হেলেনা (৩৫), আয়শা আক্তার (৭০), সিনথিয়া (২২), আবু আল হোসেন (৮৫), মোজাম্মেল হক (৫৫), মোঃ কেরামত (৪৫), বিলকিস (৩৫), কামাল (৩৮), মোঃ জসিম উদ্দিন (৪০), কিলসুম (৫০), মাহফিজুল(৭০) এবং লাইলি বেগম (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পাগলা কুকুরের কামড়ে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কুকুরের কামড়ে আহত জলিশা গ্রামে কামাল হোসেন বলেন,হঠাৎ করে একটা পাগলা কুকুর এসে কামড়ে ধরে। অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন,কুকুরের কামড়ে আহতদের আমরা টিকা দিচ্ছি।
একবার টিকা নিলে আবারও কি টিকা নিতে হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ।যখন কামড়াবে তখনই টিকা নিতে হবে।
ঘটনার সততা স্বীকার করে উপ সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল আলম বলেন,এর আগে যখন এরকম বেওয়ারিশ কুকুরে কামড়িয়ে লোকজনদের আহত করেছিল তখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যৌথ উদ্যোগে আমরা ওইগুলোকে ভ্যাকসিন দিয়ে ছিলাম। আবারও এ রকম একটা পদক্ষেপ নিতে হবে।
উল্লেখ্য,গত বছরের ২৩ জুলাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও দুই ছাত্রসহ ১৫ জনকে কুকুরে কামড়ে আহত করেছিল।