নওগার মান্দায় আত্রাই নদীর পানি বাড়ছে আতংকে নদীর দুই পাড়ের মানুষ।উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নওগাঁর মান্দায় হুহু করে বাড়ছে আত্রাই নদীর পানি।এ নদীর পানি বেড়ে এখন বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ইতিমধ্যে উপজেলার প্রসাদপুর বাজার মাছ হাটিতে পানি প্রবেশ করে ধীরে ধীরে তা বাজারের অন্যান্য সাইডেও ঢোকা শুরু হয়েছে, এতে চরম বিপাকে পড়েছে প্রসাদপুর বাজারের দোকানদার ও ক্রেতারা।পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে যেকোনো সময় তা বিপদসীমা অতিক্রম করবে।
এদিকে নদীর পানি বাড়তে থাকায় বেঁড়িবাঁধের পুরাতন তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট ভেঙ্গে যেকোনো মুহূর্তে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছে নদীর দুই তীরের মানুষ।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে আত্রাই নদীর পানি একটু একটু করে বাড়ছে।এ অবস্থায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গত দুই দিন ধরে হুহু করে বাড়তে থাকে এ নদীর পানি।গত ২৪ ঘন্টায় এ নদীর পানি ৮০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ মুহূর্তে বন্যা আতঙ্কে থাকেন নদী পাড়ের মানুষ।এ সময় তাঁদের নির্ঘূম রাত কাটাতে হয়।দিনরাত পাহারা বসিয়ে রক্ষা করতে হয় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ।ফসল ও বাড়িঘর রক্ষার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেন তাঁরা।
বন্যাকবলিত এলাকা বলে পরিচিত চকরামপুর গ্রামের বাসিন্দা খলিল হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় বেঁড়িবাঁধের দুই স্থান ভেঙে যায়।নদীর পানি বাড়লেই তা লোকালয়ে ঢুকে যায়। তলিয়ে যায় বেঁড়িবাঁধের ভেতরে থাকা বিভিন্ন ফসলের খেত।পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পড়েন কয়েক হাজার মানুষ।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে আত্রাই নদীর পানি বাড়ছে।বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।ঝুঁকির মুখে পড়বে কয়েকটি বেঁড়িবাঁধসহ দুই তীরের বন্যানিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধ।
তিনি আরো বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো মনিটরিং এর কাজ চলছে।বাঁধ রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত মালামাল মজুত রাখা হয়েছে।বন্যা মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।