সুইটি বেগম (৩০)।দুই ছেলে ও বয়োবৃদ্ধ শুশুর শাশুড়ী নিয়ে অভাবের সংসার।বড় ছেলে নাবিল (১২) ৭ম শ্রেণীতে ও ছোট ছেলে নাহিদ (১০) পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে।কিন্তু স্বামী পিন্টুর সামান্য উপার্জনে সন্তানসহ পরিবারের ৬জন সদস্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে খুবই কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন।সুইটি নিজের ইচ্ছা শক্তিতেই সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে মোটামুটি কাজ শুরু করেন।তবে নিজের একটা সেলাই মেশিন পেলে তার উপকারে লাগতো বলে অভিমত প্রকাশ করে।
বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে সেলাই মেশিন দিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন সারিয়াকান্দি মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন।সেলাই মেশিন পেয়ে খুশিতে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন সুইটি বেগম।
সুইটি জানান, তিনি মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কাছে আবেদনের মাধ্যমে পরিবারের অভাবের কথা তুলে ধরেন।পরে শুক্রবার সকালে বাড়িতে এসে একটি সেলাই মেশিন দেন।এটি দিয়ে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বাড়ি থেকে সেলাইয়ের কাজ করবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, সেলাই মেশিন পেয়ে আমি অনেক খুশি।আল্লাহ্ তাদেরকে গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর তৌফিক দেউক। আমি সারাজীবন তাদের জন্য দোয়া করব।সেইসাথে তিনি মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় সংগঠনের সভাপতি লিটন মাহমুদ, সহ-সভাপতি সাজেদুর রহমান রুবেল,সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল হাসান সুজন, মুন্জুরুল ইসলাম মুন্জু, কোষাধ্যক্ষ পলাশ মিয়া বাপ্পা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মামুনুর রশীদ মাসুদসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের সভাপতি লিটন মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই কাজগুলোই করে আসছি।আমাদের সংগঠনের উদ্দেশ্য অসহায় মানুষের সেবা করা।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের উচিত অসহায় লোকজনের পাশে দাঁড়ানো।তাদের সামান্য সহায়তায় একটি পরিবারের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হতে পারে।আমরা সবাই মিলে উদ্যোগ নিলে তাদের দুর্ভোগ অনেকটা কমানো সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।