মান্দায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ০৩:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৩২ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁর মান্দায় সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আফিমা সুলতানা মিতুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে জানিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
ভুক্তভোগী নারী উপজেলার প্রসাদপুর ইউপির ছোট বেলালদহ গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে।
মঙ্গলবার সকালে মান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী নারীসহ তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে বলেন, গত ২রা জুলাই থেকে ৫শে জুলাইয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার মেয়েকে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকৃত পক্ষে আমার মেয়ের ১০/১২ টি বিবাহের সাথে সম্পৃক্ত নয়।বিবাহের নামে কোন অর্থ আদায় করে বাড়ি গাড়ি করে নাই। ধর্ষককে বাঁচাতে তার আপন চাচা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মন্ডল সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার মেয়েকে প্রতারক সাজিয়েছেন। চেয়ারম্যান মহোদয় আমার মেয়েকে প্রতারক সাজিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে নিয়েছেন। প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদ দিয়ে আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে হেনোস্তা করছেন।
গত ৩০শে জুন আফিমা সুলতানা মিতু ফজলে রাব্বাীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এই ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়ার জন্য প্রসাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন কৌশলে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে নেয়। সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আমার মেয়েকে প্রতারক সাজিয়ে ফায়দা লুটছেন চেয়ারম্যানের পরিবার।আমার মেয়েকে বহু বিবাহের জনক সাজিয়েছেন। বহু বিবাহের নামে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করার কথা উল্লেখ করেছেন।প্রকৃত পক্ষে আমার মেয়ের দুর্ভাগ্যবশত দুই- তিনটি বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর সম্পর্ক বিছিন্ন হলেও তাদের নিকট থেকে কোন মোহরানা আদায় করা বা নেওয়া হয়নি। অথচ বিবাহ বানিজ্যের নামে অর্থ আদায়সহ প্রতারক নারী উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করে নিয়েছেন।
মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,ভুক্তভোগীর বাবা, মা, মামা আব্দুস ছালাম, ভাই মনিরুজ্জামান।
এ ব্যাপারে প্রসাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মন্ডল জানান,বহুবিবাহ নামে অর্থ বানিজ্য ও টাকা আদায় করাসহ সাধারণ মানুষজনকে হয়রানী করায় তার কাজ। অভিযোগ থেকে বাঁচতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে তারা।