বর্তমান সময়ের উদিয়মান তরুণ কন্ঠশিল্পী জুনায়েদ জয়।কন্ঠটা বেশ মিষ্টি।ছোট বেলা থেকেই গানের প্রতি অদম্য টান জয়ের।তাই বাল্যকাল হতেই গান গাওয়ায় হাতেখড়ি হন তিনি।
জুনায়েদ জয় হবিগঞ্জ জেলার অন্তগত নবীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে জন্মগ্রহন করেন।প্রত্যন্ত অঞ্চল নবীগঞ্জে বাউল গানের আসর হতো, সেই গানের আসর শুনেই গান গাওয়ার স্বপ্নের ঘন্টা বেজে ওঠে জুনায়েদ জয়ের এর মনে।নিজের অজান্তে গুনগুনিয়ে সব সময় গাইতেন গান।যা অনেকের মনে নাড়া দিত।
তার বাবা একজন কৃষক।দারিদ্রতার কারণে এসএসসি পাস করার পর আর হয়ে ওঠেনি পড়াশোনা।তাই গত এক দশক পূর্বে জীবিকার তাগিদে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান তিনি।
বর্তমানে তিনি টুঙ্গী গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে কর্মরত রয়েছেন।তবুও হাল ছাড়েন নি কাজের পাশাপাশি নিজের স্বপ্নের পাখায় পালক সংযোজন করাতে গিয়েছেন বহু মানুষের কাছে।বরাবরই বিমুখ হয়েছেন।কিন্তু দীর্ঘদিনের সঙ্গীত সাধনা এবার সার্থক হয়েছে জয়ের।নিজের কন্ঠে তুলে ধরেছেন অনেক গান।
ইতিমধ্যে জুনায়েদ জয়ের কন্ঠে তুলে ধরেছেন আমি বামন হইয়া, ভালোবাসার মুর্শিদ, তুই ছাড়া আর কেউ নাই, নোলক পড়া মেয়ে, ও পাষানী মাইয়া তুমি, নিলা মন কারিয়া, কোন পাড়াতে থাকো কন্যা, এত কষ্ট দিলে বন্ধু, আল্লাহ তুমি মাফ করে দাও, নেশায় ডুবেছি, কোন কলেজে পড়িস রে তুই, পাল তুলা নৌকা, সহ অসংখ্য মৌলিক গান।শুধু তাই নয় সামনেও প্রকাশ হতে যাচ্ছে জুনায়েদ জয়ের অসংখ্য গান।
উচ্ছ্বসিত জুনায়েদ জয় জানান, যেই সময় আমার পড়াশুনা করার কথা ছিলো সেই সময় আমি আমার পরিবারের দায়িত্ব পালন করেছি।ছোট থেকে যখন গান করলাম তখন স্বপ্ন দেখতাম একজন ভালো মানের কন্ঠশিল্পী হওয়ার কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমার অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে কিন্তু হাল ছাড়িনি এখন আলহামদুলিল্লাহ বাজারে অনেক গান প্রকাশ করেছি শ্রোতারাও ভালো ভাবো নিচ্ছেন গান গুলো।।আমার গাওয়া অপ্রকাশিত অসংখ্য গান রয়েছে, গান গুলো আস্তে আস্তে বাজারে প্রকাশ করবো।আশা করি গান গুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে পাশাপাশি সামনে আরো কিছু গান রের্কড করবো।কলে আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, আমি যেনো আমার স্বপ্ন নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারি।পরিশেষে বাংলা গান শুনুন ও শুদ্ধতার সাথে থাকুন (ধন্যবাদ)।