বরগুনার আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক সৈয়দ মোহাম্মাদ ওয়ালিউল্লাহ এর বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) ১৯৮০ এর ৩(ক)(খ)১৩ ধারায় বডি চেইঞ্জ পরীক্ষায় সহায়তার দায়ে জিআর-১৫৪/১৮নং মোকদ্দমায় আমতলী উপজেলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আরিফুর রহমান মামলার ধার্যতারিখ মঙ্গলবার গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের মে মাসের ৩ তারিখ আমতলী বকুলনেছা মহিলা কলেজের এইচ,এস,সি, পরীক্ষা কেন্দ্রে উচ্চতর গনিত ২য় পত্রের পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থী মো. আরিফুর রহমানের প্রবেশ পত্র যাচাইকালে দেখতে পান যে প্রবেশ পত্র ও রেজিষ্টেশন কার্ডে মো. মেহেদী হাসান এর ছবি ও প্রবেশপত্র।
পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্তদের জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুর রহমান জানান, যে সে ২৫ হাজার টাকা চুক্তিতে মেহেদি হাসানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হেেয়ছে তাকে জিপিএ ৪ পাইয়ে দিবে। নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে।
হল কর্তৃপক্ষ আরিফুর রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় বকুল নেছা মহিলা কলেজের তৎকালীন( ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান আমতলী থানায় পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) ১৯৮০ এর ৩(ক)(খ)১৩ ধারায় বডি চেইঞ্জ পরীক্ষায় সহায়তার দায়ে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় ১নং আসামী আরিফুর রহমান (১৯) গ্রেফতার হওয়ার পরে বিজ্ঞসিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটএর নিকট ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে বকুল নেছা মহিলা কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মো. ওয়ালি উল্লাহর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি প্রকাশ করেন।
কিন্ত পরবর্তীতে পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক(পটুযাখালী) তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সোবাহান সৈয়দ মো. ওয়ালি উল্লাহর নাম তদন্ত প্রতিবেদনে বাদ দিয়ে দেন।
মামলার ধার্য তারিখ ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখ পিবি আই পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তোষজনক না হওয়ায় সৈয়দ ওয়ালি উল্লাহকে অর্šÍভূক্ত করে মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন বলে জানান, আসামী পক্ষের আইনজীবি অ্যাড ইসহাক বাচ্চু।