লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে ভেক্যু মেশিন দিয়ে অন্যের কৃষি জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কামাল উদ্দিন মেম্বারের বিরুদ্ধে।স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল উদ্দিনও এঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, কামাল মেম্বার জমিটি হেলালের কাছে বিক্রি করবে বলেছে।এজন্যই হেলাল সেই মেম্বারের নির্দেশে রাস্তা নির্মাণ করেছে।
গতকাল সোমবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় জমির মালিক ফাতেমা বেগমের মেয়ের জামাই হাবিবুর রহমান ও দৌলত পাটওয়ারী কমলনগর থানায় কামাল ও হেলালকে বিবাদী করে অভিযোগ করেন।
এর আগে রোববার (৪ জুন) গভীর রাতে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের তোরাবগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জমির মালিকরা জানায়, তোরাবগঞ্জ গ্রামে প্রয়াত আবদুল খালেক চেরাঙ্গের ২৮৮ শতাংশ জমি রয়েছে।ওয়ারিশ সূত্রে একমাত্র মেয়ে ফাতেমা বেগম ওই জমির মালিক।ফাতেমা ওই জমি স্থানীয় মোহাম্মদ ইউছুফসহ কয়েকজনের কাছে বর্গা দেয়।দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে জমিটি বর্গাচাষীরা চাষাবাদ করে ফসল উৎপাদন করে আসছে।গত রোববার রাতে হঠাৎ করে স্থানীয় কামাল মেম্বারের নেতৃত্বে হেলাল ভেক্যু মেশিন এনে জমির মাঝখান দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে।এতে বর্গাচাষীরা বাধা দিতে গেলে তাদেরকে হুমকি ধামকি দেয় মেম্বারের লোকজন।ফসলি জমির মাটি ভেক্যু দিয়ে কেটে ওই রাস্তা নির্মাণ করা হয়।খবর পেয়ে ফাতেমার মেয়ে জামাই হাবিবুর রহমান ও দৌলত পাটওয়ারী সোমবার ঘটনাস্থল গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়।পরে খবর পেয়ে কমলনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বর্গাচাষী মোহাম্মদ ইউছুফ বলেন, রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ভেক্যু মেশিন দিয়ে হেলাল জমির মাঝখানে রাস্তা নির্মাণ করছিলেন।আমি বাড়িতে ছিলাম না।আমার স্ত্রী শব্দ শুনে বাধা দিতে গেলে তারা মারধর করার চেষ্টা করে।হেলালকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানায়, কামাল মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।কামাল তার কাছে জমি বিক্রি করবে বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে হেলালকে পাওয়া না গেলেও তার পরিবারের লোকজন বলেন, যে জমিতে রাস্তা করা হয়েছে তা তাদের নয়।তারা ওই জমিটি কিনবে।ইউপি সদস্য কামালের নির্দেশনায় ওই জমির ওপর দিয়ে রাস্তা করা হয়েছে।তিনি (চেয়ারম্যান) তাদেরকে জমিটি নিয়ে দিবেন বলে জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত কামাল মেম্বার সাংবাদিকদের বলেন, জমিটি বিক্রির জন্য মালিকের মেয়ে জামাই হাবিবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।সে লক্ষ্যেই জমিতে রাস্তা তৈরি করা হয়।কিন্তু এখন তারা এর বিরোধীতা করছে। রাতের অন্ধকারে কেন রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, সে প্রশ্নে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।ভূক্তভোগীদের অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।