ঝালকাঠির সদর উপজেলার কীত্তিপাশা ইউনিয়নের তারপাশা গ্রামে গৃহবধু, মেয়ে ও ছেলেকে মারদধ ও শারীরিক নিযার্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষ সেলিম হাওলাদার ও আরমান হাওলাদার এর বিরুদ্ধে।
আহতরা হলেন গৃহবধু জেসমিন বেগম (৩০),তার মেয়ে স্কুল ছাত্রী লামিয়া আক্তার ও শিশুপুত্র সিয়াম হাওলাদার।
এর মধ্যে গুরুতর আহত জেসমিন বেগম ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।রবিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে,নিজ বাড়ি গাছের ডাব নারিকেল বিক্রি করতে গেলে জেসমিন আক্তারকে মারদর করে তার বসতঘরে ভাঙচুর করেছে প্রতিপক্ষরা।ডাব পারতে গেলে এসময় প্রতিপক্ষ সেলিম হাওলাদার ও আরমান
হাওলাদার ডাব নারিকেল বিক্রয় করতে বাধা দেয়।তার প্রতিবাদ করতে গেলে সেলিম হাওলাদার ও আরমান হাওলাদার লোকজন নিয়ে জেসমিন আক্তারের উপর হামলা চালায়। লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এঘটনায় সোমবার ঝালকাঠি সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন গৃহবধু জেসমিন আক্তার।
অভিযোগে আরো জানাগেছে,জেসমিন আক্তারের স্বামী মাসুম হাওলাদারকে বিদেশে নেয়ার জন্য সাত লাখ টাকা নিয়ে সৌদি আরবে পাঠান সেলিম হাওলাদারের বোন জামাই বশার খান।বিদেশে নিয়ে কোন কাজ দেননি মাসুম হাওলাদারকে।দেশে ফিরিয়ে আনার জন্যও কোন ব্যবস্থা করেননি। স্বামীকে দেশে আনতে বললেই বিভিন্ন সময় সেলিম হাওলাদার জেসমিনের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এ বিষয় নিয়ে পূর্ব হইতে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ চলছে। এছাড়া জমিজমা নিয়ে পূর্ব হইতে বিরোধ চলছিলো। এর কারণে জেসমিনের উপর হামলা চালায় ও ঘর বাড়ি ভাঙচুর করে। স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে ঘরে রাখা এক লাখ টাকা এবং মেয়ের গলার সোনার চেইন নিয়ে যায় হামলা কারিরা।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।